রবিবার সকাল থেকেই ব্রিগেডে মানুষের ঢল। গীতপাঠের (Gita reading program in brigade) মূল অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হাজির প্রচুর মানুষ। বর্তমানে অনেকেই এসে গিয়েছেন ব্রিগেডে। ভিড় বেড়েছে হাওড়া-শিয়ালদহেতেও। মহিলাদের দেখা যাচ্ছে লাল পাড় সাদা শাড়িতে, পুরুষরা পড়েছেন সাদা পাঞ্জাবি। ব্রিগেডে তৈরি হয়েছে ২ টি মঞ্চ। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ভজন। ভজনের মাধ্যমে শুরু হবে গীতাপাঠের অনুষ্ঠান। লক্ষ লক্ষ কণ্ঠে শোনা যাবে গীতাপাঠ।
রবিবার সাড়ে দশটায় শুরু হয় শোভা যাত্রা। তারপরই হয় আরতি। সাড়ে ১১টা অবধি চলে বেদ পাঠ। এরপর গীতাপাঠ শুরু হয় বেলা ১২টা ২০ মিনিট নাগাদ। গীতার ৫ অধ্যায় পাঠ করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। বঙ্গ বিজেপি তরফে দাবি করা হয়েছে যে গীতাপাঠের জন্য ১ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষ তাঁদের নাম লিখিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) আসতে না পারলেও তিনি পাঠিয়েছেন শুভেচ্ছাবার্তা। লক্ষ কণ্ঠে গীতপাঠ কর্মসূচির আয়োজকদের শুভেচ্ছাবার্তা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আয়োজকদের সাফল্য কামনা করে করেন তিনি।
অনুষ্ঠান নিয়ে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজনৈতিক পরিবেশের কোনও বিষয় নেই। এটা একটা সাংস্কৃতিক কার্যক্রম। সেখানে সবাই অংশ নিয়েছে। আমরাও অংশ নিয়েছি। ব্রিগেড তো বাংলার কুরুক্ষেত্র।“ দিলীপ ঘোষ জানান, “সমাজকে জাগাতে হবে। এক জায়গায় সকলকে আনতে হবে।“
রবিবার সকাল থেকেই দেখা যায় আয়োজকদের তৎপরতা। শেষবেলায় সব ঠিকঠাক আছে কিনা ঘুরে দেখেন তারা। আজ সকাল থেকেই রাজ্য কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে যায়, ফলে ট্রেন দেরিতে চলছে। তাই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা সাধারণ মানুষ নিয়ে চিন্তা দেখা দেয়। তবে বেলা বাড়তেই দেখা যায় প্রচুর মানুষ ব্রিগেডমুখী।