সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শীঘ্রই সাধারণ মানুষকে তার সম্পত্তির কাগজপত্র আধারের (Aadhaar Card) সঙ্গে যুক্ত করতে হবে, কারণ সরকার এখন তা বিবেচনা করতে পারে। দুর্নীতি, কালো টাকা সংগ্রহ ও বেনামি লেনদেন রুখতে নাগরিকদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির নথি আধারের সঙ্গে যুক্ত করার আবেদনের শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রকে নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট।
বিচারপতি রাজীব শাকদার ও বিচারপতি গিরিশ কাঠপালিয়ার বেঞ্চ বলেছে, এগুলি নীতিগত সিদ্ধান্ত এবং আদালত সরকারকে তা করার নির্দেশ দিতে পারে না। আদালত বলেছে, সরকারকে তিন মাসের মধ্যে আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিচারপতি শাকদার বলেন, ‘আদালত কীভাবে এ ধরনের বিষয়ে জড়াতে পারে। প্রাথমিকভাবে, আমি যা বুঝতে পারছি, তা হ’ল এই ক্ষেত্রগুলি সম্পর্কে আমাদের কাছে সম্পূর্ণ চিত্র বা ডেটা নেই।
আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়ের দায়ের করা একটি পিটিশনের শুনানি চলাকালীন বিচারক বলেন, দুর্নীতি দমনে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া এবং অবৈধভাবে অর্জিত ‘বেনামি’ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। যেখানে সরকার দুর্নীতি ও কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর আগে হাইকোর্ট অর্থ, আইন, গৃহায়ণ ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক এবং গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রককে এই আবেদনের জবাব দেওয়ার জন্য সময় দিয়েছিল।
তিনি বলেন, সরকার যদি আধারের সঙ্গে সম্পদ যুক্ত করে, তাহলে বার্ষিক অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। এটি নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে পরিষ্কার করবে, যা কালো টাকা এবং বেনামি লেনদেনদ্বারা প্রভাবিত। যা বড় আকারের অবৈধ বিনিয়োগের চক্রের উপর নির্ভর করে। ব্যক্তিগত সম্পদ অর্জনের জন্য রাজনৈতিক ক্ষমতার ব্যবহার নাগরিক অধিকার অবমাননার সমান।