সুখবর এলেই অকাল ঈদ! অনেকটা এমনই বলছেন সাগরদিঘির ভোটাররা। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে তাদের এসব বার্তা। এদিকে আয়কর অভিযানে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা বাজেয়াপ্ত হবার পর্যন্ত আচমকা তৃ়ণমূল বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস (Bayron Biswas) অসুস্থ। তিনি চিকিতসাধীন। সাগরদিঘির (Sagardighi) ভোটারদের বড় অংশের কটাক্ষ ওটা নাটক। ওর গ্রেফতারের সুখবর আসুক। মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল নীরব। এদিকে বিধায়কের বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আয়কর অভিযানে লক্ষ লক্ষ টাকা ও জমি জায়গার বিপুল নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
বুধবার সকাল থেকে সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের সামশেরগঞ্জের বাড়িতে আয়কর অভিযান শুরু হয়। ২৮ জন আয়কর আধিকারিক বিধায়কের বাড়ি, বিড়ি ফ্যাক্টরি, চা ফ্যাক্টরি, স্কুল, হাসপাতাল সহ মোট আট জায়গায় একসঙ্গে হানা দেয়। রাতের দিকে জানা যায় কমপক্ষে ৬০ লাখ টাকা মিলেছে। যদিও বিধায়কের দাবি, এসবই ব্যবসার টাকা। তিনি নিজেকে একজন ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছেন।
তবে বুধবার রাতেই আয়কর তল্লাশির মাঝে অসুস্থ হন বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। তাকে তড়িঘড়ি সামশেরগঞ্জের একটি নার্সিং হোমে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই নার্সিং হোমটির মালিক বিধায়ক নিজেই। এরপর প্রশ্ন উঠতে থাকে বাইরন কি আসলেই অসুস্থ? তবে তার আত্মীয়রা বলছেন, বাইরন বিশ্বাসের রক্তচাপ স্বাভাবিক ছিল না।
বাইরন বিশ্বাস সাগরদিঘির উপনির্বাচনে কংগ্রেস ও বাম জোটের হয়ে জিতেছিলেন। জয়ের পর তিনি তৃণমূল যোগ দেন। বর্তমানে তিনি তৃণমূল বিধায়ক। ফলে তার বাড়ি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বান্ডিল বান্ডিল টাকার হদিস মেলায় কংগ্রেস ও সিপিআইএম বল ঠেলছে তৃণমূলের দিকে। তার কংগ্রেস ত্যাগে সাগরদি়ঘিতে ছড়িয়েছিল ক্ষোভ। বাইরনের সাথে তৃণমূলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠতা।