হকের চাকরি চুরি (Job Scam) হয়েছে তৃণমূলের আমলে। চাকরি দাও বলে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে ঘিরে SLST চাকরিপ্রার্থীরা চোর ধরো, চোর ধরো বলে চিতকার শুরু করে দিলেন। তারপরই বিশৃঙ্খলা শুরু হয়ে গেল। এই ভিডিওতে তীব্র অস্বস্তিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ, তাঁর দলেরই মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
চাকরির দাবিতে লাগাতার ধর্না চলছে। শনিবার ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে এসএলএসটি চাকরি প্রার্থীরা নিজেদের পাওনা চাকরির জন্য মাথা মুড়িয়ে ন্যাড়া হয়ে প্রতিবাদ জানান। মহিলা আন্দোলনকারীও নিজের মাথা মোড়ান। এর জেরে বিতর্ক চরমে। এর মাঝে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সেখানে যেতেই আরও ক্ষোভ ফেটে পড়ে। তাকে ঘিরে চাকরিপ্রার্থীরা চোর ধরো স্লোগান দেন। সরকারে থাকা তৃণমূলকে লক্ষ্য করেও চলে কটাক্ষ। অভিযোগ, তৃণমূল আমলে নিয়োগ দুর্নীতির কারণে যোগ্যদের সরিয়ে অযোগ্যদের চাকরি হয়েছে।
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নিয়োগ হবে। তাদের প্রশ্ন কবে চাকরি হবে? তারা বলছেন, আমরা ওনার কাছে পৌঁছতে পারিনি। অনেকবার চেষ্টা করেছি। চাকরিপ্রার্থীরা বলেন “এক হাজার দিন অতিক্রান্ত। এখনও চাকরি মিলল না। এরই বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ।”
নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত মামলায় আগামী ২ মাসের মধ্যে সিবিআই, ইডিকে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
নিয়োগের দাবিতে ২০১৬ সালের এসএলএসটি নবম থেকে দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলন করেছেন। তাদের দাবি, মেধা তালিকায় প্রত্যেকেরই নাম রয়েছে । অভিযোগ তালিকাভুক্ত একজন চাকরিপ্রার্থীরও চাকরি হয়নি।