হতশ্রী পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে গতবারের মরশুম শেষ করেছিল মহামেডান স্পোটিং ক্লাব (Mohammedan SC)। তবে নয়া মরশুমের শুরুতেই দাপুটে পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে নিজেদের পুরোনো ছন্দে ফিরে আসে ফুটবল দল। যারফলে, ময়দানের বাকি দুই প্রধান তথা ইমামি ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব ও মোহনবাগান সুপারজায়ান্টসের মতো দুই দলকে টেক্কা দিয়ে কলকাতা লিগ জয় করা সম্ভব হয় অনায়াসেই।
যারফলে, এই নিয়ে টানা তিনবার কলকাতা লিগ ঘরে তোলে সাদা-কালো ব্রিগেড। বলা যায় কয়েক দশক পর পুনরাবৃত্তি ঘটে আবার। সেই ধারাই বজায় রাখার পরিকল্পনা ছিল দেশের দ্বিতীয় ডিভিশন লিগ তথা আইলিগে। সেটাই হয়েছে এবার। আন্দ্রে চেরনিশভের নেতৃত্বে জাতীয় টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ থেকেই যথেষ্ট লড়াকু মেজাজে দেখা যায় দলের ফুটবলারদের। প্রথম ম্যাচে নিজেদের ঘরের মাঠে আইজল এফসিকে বড় ব্যবধানে পরাজিত করে মহামেডান স্পোটিং ক্লাব।
তারপর দ্বিতীয় ম্যাচে ট্রাউ এফসিকে হাফ ডজন গোলে উড়িয়ে দেয় ডেভিড ব্রিগেড। তবে টুর্নামেন্টের তৃতীয় ম্যাচে নিজেদের ঘরের মাঠে শিলং লাজং এফসির বিপক্ষে ড্র করতে হলেও পরবর্তীকালে সুদেবা দিল্লিকে হারিয়ে ফর্মে ফেরে মহামেডান স্পোটিং ক্লাব। তবে সেই ম্যাচে রেফারিং নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে থাকে সাদা-কালো শিবিরের অন্দরে। আসলে দলের দুই তারকা ফুটবলারকে লাল কার্ড দেখান ম্যাচ রেফারি। যা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয় দলের অন্দরে। পরবর্তীতে যদিও এই নিয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনে দ্বারস্থ হয় মহামেডান স্পোটিং ক্লাবের কর্তারা। এক্ষেত্রে ভিডিও অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আর্জি ও উঠে আসে তাদের তরফ থেকে। তবে এখনো পর্যন্ত সেই নিয়ে কোনো কিছুই জানানো হয়নি কারুর তরফ থেকে।
তবে শেষ ম্যাচে লাল কার্ড দেখার দরুণ আজ রাজস্থান ইউনাইটেডের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নিজেদের দুই দাপুটে ফুটবলারদের পাবে না সাদা-কালো ব্রিগেড। যাদের মধ্যে রয়েছেন আলেক্সিস গোমেজ ও কাশিমসের মতো দুই বিদেশি। যারফলে, কিছুটা হলেও চাপে থাকবে মহামেডান স্পোটিং ক্লাব। তবে ডেকার এরিনাতে পুরো পয়েন্ট পাওয়াই একমাত্র লক্ষ্য সাদা-কালো ব্রিগেডের।