শুভেন্দুর দাদাকে হেনস্থার অভিযোগে এসডিপিওকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা

কোটি কোটি টাকা খরচ করে এলইডি আলো লাগানো হয়েছিল রাস্তার দুপাশে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেগুলির পরিচর্যা করা হচ্ছে না, এমন অভিযোগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু…

কোটি কোটি টাকা খরচ করে এলইডি আলো লাগানো হয়েছিল রাস্তার দুপাশে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেগুলির পরিচর্যা করা হচ্ছে না, এমন অভিযোগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাদা কৃষ্ণেন্দু অধিকারীর নামে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল। বুধবার তার শুনানিতে মামলাই খারিজ করে দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে এগরা সাব ডিভিশনাল অফিসারকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করলেন তিনি।

কাঁথি পুরসভা এলাকায় ২০১৬-২০১৭ সালে প্রায় ৩ কোটি টাকা খরচ করে দিঘা-মেচেদা রোডের দু’পাশে এলইডি লাইট লাগানো হয়েছিল। কিন্তু সেগুলোর কোনও পরিচর্যা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। তাই কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল।

   

এগরা সাব ডিভিশনাল অফিসার ১০ বছরের আয়কর রিটার্ন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কৃষ্ণেন্দু অধিকারীকে। তারপর ৩১ অক্টোবর কাঁথি থানার পক্ষ থেকে গত ১০ বছরের আয়করের হিসেব চেয়ে পাঠনো হয় কৃষ্ণেন্দু অধিকারীর কাছে। অফিসারের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারীর দাদা।

সরকারি আইনজীবী জানান, তিনি বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আধিকারিকের সাথে কথা বলে জানাবেন। তাতেই আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পুলিশকে ‘মেরুদণ্ডহীন’ বলে দাবি করে তিনি বলেন, তদন্তের কারণে নয়, বরং পুলিশ যে অযথা হয়রানি করার জন্য এটা করেছে তা স্পষ্ট।

বিচারপতি জানান, “পুলিশের যে মেরুদণ্ড নেই তা তাদের এই ধরনের তদন্তের প্রক্রিয়ায় স্পষ্ট। তদন্তের নামে প্রহসন করছে পুলিশ। পুলিশকে আমি সতর্ক করছি, দেশের কোনও নাগরিককে এইভাবে যদি ভবিষ্যতে হয়রানি করে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে”।

উল্লেখ্য, এগরা সাব ডিভিশনাল অফিসারকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ৪ সপ্তাহের মধ্যে তা না দিলে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করবে আদালত, জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।