গত ২৪ অক্টোবর কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে এএফসি কাপের ম্যাচে বাংলাদেশের শক্তিশালী দল বসুন্ধরা কিংসের মুখোমুখি হয়েছিল সবুজ-মেরুন (Mohun Bagan’) ব্রিগেড। সেই ম্যাচে ভালো খেলে প্রথমদিকে এগিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই স্টেডিয়াম ছাড়তে হয়েছে হুয়ান ফেরেন্দোর ছেলেদের। যা দেখে প্রবল হতাশ সকলেই।
এছাড়াও রেফারির নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছিল গতবারের আইএসএল জয়ী কোচকে। তার মধ্যেই বাড়তি চিন্তা তৈরি হয়েছিল দলের তরুণ ডিফেন্ডার আনোয়ার আলিকে নিয়ে। আসলে, বসুন্ধরা ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে খেলা চলাকালীন আচমকাই চোট আসে আনোয়ারের। শট মারতে গিয়ে বলের বদলে মাটিতে পা রেখে ফেলেন এই ভারতীয় ডিফেন্ডার। যারফলে, গুরুতর চোট পেয়ে মাটিতেই পড়ে যান এই তারকা। পরবর্তীতে খোড়াতে খোড়াতে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। প্রাথমিকভাবে মাঠে তার চিকিৎসা করার পর ক্রেপ ব্যান্ডেজ বেঁধে দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত স্ট্রেচারে করেই মাঠ ছাড়তে হয় এই ফুটবলারকে।
পরবর্তীতে দলের সহকর্মীদের সাহায্যে স্টেডিয়াম ছেড়ে গাড়িতে ওঠেন আনোয়ার। তার এই পরিস্থিতি দেখে রীতিমতো চিন্তায় পড়ে যায় গোটা ম্যানেজমেন্ট। এসবের মাঝেই গত বৃহস্পতিবার পায়ের স্ক্যান করা হয় আনোয়ারের। যার রিপোর্ট নাকি খুব একটা ভালো আসেনি। যা নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়েছে সকলের। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, পায়ের সেই স্ক্যানের রিপোর্ট অনুযায়ী আপাতত আর হয়ত মাঠে ফেরা হচ্ছে না আনোয়ার আলির। মনে করা হচ্ছে, আবার সবুজ-মেরুন জার্সিতে পুরোনো ছন্দে ধরা দিতে প্রায় জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ভারতীয় দলের অন্যতম এই ডিফেন্ডারকে।
যারফলে, আসন্ন এএফসি কাপের বাকি তিনটি ম্যাচের পাশাপাশি ইন্ডিয়ান সুপার লিগের প্রথম লেগের বাকি ৭টি ম্যাচে ও মাঠে পাওয়া যাবে না আনোয়ার আলিকে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। আনোয়ারের মতো দাপুটে ডিফেন্ডারের অনুপস্থিতি দলকে যে আরও বেশি চাপে ফেলবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে আসন্ন ম্যাচ গুলিতে আনোয়ার না থাকলে দলের কৌশলগত বদল যে আসবে তা বলাই চলে। এক্ষেত্রে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হতে পারে বাগান অধিনায়ক শুভাশিস বসুকে।