Anubrata Mondal’s Brother: রক্তাক্ত অবস্থায় থানার বাইরে পড়ে অনুব্রতর ভাই। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য বীরভূমের বোলপুরে। জানা গিয়েছে দশমীর রাতে বিসর্জনের পর ব্যাপক মারধর করা হয়েছে অনুব্রতর ভাই সুমিতকে। এমনটাই তিনি অভিযোগ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে তিনি কেষ্টর ভাই বলেই তাঁকে মারধর করা হয়েছে। মেরে মুখ ও নাক ফাটিয়ে দিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে ফেলে যাওয়া হয় বোলপুর থানার বাইরে বলে অভিযোগ।
দশমীর রাতে নাক মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হল অনুব্রতর ভাইয়ের। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ফেলে দেওয়া হয় বোলপুর থানার বাইরে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য বীরভূমের বোলপুরে। অনুব্রতর ভাই সুমিতের অভিযোগ, তিনি কেষ্টর ভাই বলেই তাকে মার খেতে হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় তৃণমূল বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তিহার জেলে বন্দি। তার ভাই সুমিত মণ্ডলকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, অনুব্রত মণ্ডলের নীচুপট্টির বাড়ি সংলগ্ন বোলপুরের বাড়িপুকুরের কাছে বিসর্জনের সময়ে ঘটনার সূত্রপাত। এলাকার যুবকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন অনুব্রতর ভাই সুমিতর। কামরুল আলি ও আকাশ কুণ্ডু নামে দুই যুবক সুমিতকে বেধড়ক মারধর করতে থাকেন। মেরে নাক-মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয়। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে বোলপুর থানার সামনেই ফেলে যাওয়া হয়।পরে তাকে পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
বোলপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সুমিত। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে এক্ষেত্রে । পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি বলে অভিযোগ সুমিতের । অভিযোগ করে সুমিত বলেন, “থানায় এসে সবটা জানানো সত্ত্বেও পুলিশ আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি। অনুব্রত মণ্ডলের ভাই বলেই আমাকে মারধর করা হয়েছে। আর যেহেতু আমার দাদা তিহাড়ে বন্দি, তাই পুলিশ অসহযোগিতা করছে। আমি প্রচণ্ড অসুস্থ বোধ করছি৷ এটা বলার পরেও পুলিশ আমাকে হাসপাতালে নিচ্ছে না।”
বীরভূমের পুলিশের উদ্দেশে একাধিকবার অনুব্রতকে বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গেছে। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় এ দৃশ্যও ধরা পড়েছে, যে পুলিশ অনুব্রতর পাশে ‘ঠুঁটো জগন্নাথই’। সেই বদলাই কি উঠছে ভাইয়ের ওপর। অনুব্রতর মণ্ডলের ঠিকানা এখন তিহাড়ে। বীরভূমের মাটি কেষ্ট হীন।