মুকুল রায় বলেছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টি মানেই তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি নিজেও সেই নীতি মেনে চলেন। টিএমসি ও বিজেপিতে যাওয়া আসার এই খেলায় মুকুল তত্ত্বে এবার সামিল বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালী প্রতিহার।
লোকসভার আগেই পদ্মফুল শিবিরে এক বিরাট ধাক্কা। আজ তৃণমূল যুব নেতা অভিষেক ব্যানার্জির উপস্থিতিতে, বাঁকুড়ার কোতুলপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বাংলার বিধায়ক হরকালি প্রতিহার যোগদান করলেন তৃণমূলে।
টিএমসির পক্ষ থেকে তাকে স্বাদর আহ্বান করা হয়। একের পর এক বিজেপির দলের এই ভাঙনে রীতিমত ফাঁকা হচ্ছে বিজেপি শিবির। এই একাধিক কর্মীর দল ছাড়ার ঘটনা ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে এক বড় ভাঙন আনতে পারে।
তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে জানানো হয় ‘এই ইউনিয়নের সঙ্গে, আমরা আমাদের সম্প্রদায়ের ইতিবাচক পরিবর্তন এবং অগ্রগতি আনতে আমাদের কাজে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছি। একসঙ্গে, আমরা বাংলার উন্নতির জন্য অক্লান্তভাবে, হাতে হাত রেখে কাজ করার অঙ্গীকার রাখব ‘।
গত বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে দ্বিমুখী ভোট মেরুকরণের জেরে পূর্বতন বামফ্রন্ট শূন্য হয়। সেই জায়গা দখল করে বিরোধী দল হয়েছে বিজেপি। তবে এর পরেও একাধিকবার বিএনপিতে ভাঙ্গন ধরেছে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন হরকালী প্রতিহার। তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে সামিল হতেই বাঁকুড়ায় বিজেপির সাংগঠনিক শক্তির দূর্বলতা আরও বাড়ল।
বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার বারবার দলীয় কর্মীদের হাতে নিগৃহীত হচ্ছেন। এমনকি বিজেপি রাজ্য দফতরে কর্মী সমর্থকদের হামলা হয়েছে। এর মাঝে বাঁকুড়া থেকেই বিজেপি বিধায়ক ঢুকে গেলেন তৃণমূলে।
বিজেপি তৃণমূল যাওয়া আসা খেলা:২০২১ সালের ১১ জুন মুকুল রায়,৩০ আগস্ট তন্ময় ঘোষ, ৩১ আগস্ট বিশ্বজিৎ দাস, ৪ সেপ্টেম্বর সৌমেন রায়, ২৭ অক্টোবর কৃষ্ণ কল্যাণী, ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সুমন কাঞ্জিলাল, ২৬ অক্টোবর হরকালী প্রতিহার সামিল হলেন তৃণমূলে।