Weather: কমছে তাপমাত্রা, আসছে হেমন্ত

দশমীর দিন দু-একটি জায়গায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া আবহাওয়া  শুকনোই ছিল কলকাতায়। শহর কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের ওপরে তেমন কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি ঘূর্ণিঝড় হামুন। বুধবার…

Weather: কমছে তাপমাত্রা, আসছে হেমন্ত

দশমীর দিন দু-একটি জায়গায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া আবহাওয়া  শুকনোই ছিল কলকাতায়। শহর কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের ওপরে তেমন কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি ঘূর্ণিঝড় হামুন। বুধবার সকালে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১ ও ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৭ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৬৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় ৮.৯ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে।

Advertisements

ঘূর্ণিঝড় আসছে না। ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসও তুলে নেওয়া হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে দশমী থেকেই পশ্চিমবঙ্গে পারদ পড়তে চলেছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী তিনদিন উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে রাতের তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যাবে। পরবর্তী দু’দিনে অবশ্য তাপমাত্রার কোনও হেরফের হবে না। বুধবার শুধুমাত্র উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হালকা বৃষ্টি হবে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলি মূলত শুষ্ক থাকবে। ওই জেলাগুলিতে (পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া) বৃষ্টি হবে না। বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার কোনও জেলায় বৃষ্টি হবে না বলে জানানো হয়েছে।

   

অন্যদিকে, দশমীতে উত্তরবঙ্গের শুধুমাত্র আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে খুব হালকা থেকে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতে বৃষ্টি হবে না। বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের কোনও জেলায় (দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা) বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস নেই।

Advertisements

এছাড়া আগামী দিন দুয়েক রাতের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পাবে। অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের কাছে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গভীর রাতে দেড়টা থেকে আড়াইটের মধ্যে চট্টগ্রামের কাছে ঘূর্ণিঝড় হামুন বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে। সেই সময় ঘূর্ণিঝড়ের বেগ ছিল ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৯৫ কিমি। এরপর ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়েছে। এবং শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, দক্ষিণ অসম এবং মেঘালয়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।