লক্ষ লক্ষ গাজাবাসীকে এই ভূখণ্ডের দক্ষিণ অংশ অর্থাৎ মিশরের সীমান্তে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইজরায়েল সরকার। তাদের লক্ষ্য গাজা ভূখণ্ডের উত্তর অংশে হামলা। বিবিসির খবর, স্থল, সাগর,আকাশ পথে যে কোনও সময় প্রত্যাঘাত করতে প্রস্তুত ইজরায়েলি বাহিনী। সবুজ সংকেত এলেই শুরু হবে গাজার শাসক ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠি হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান।
বিবিসির বিশেষ প্রতিবেদক রুশদি আবু আলুফ আছেন গাজার অভ্যন্তরে। তিনি জানাচ্ছেন, লক্ষ লক্ষ গাজা নিবাসী ফিলিস্তিনি সরে যাচ্ছেন মিশরের রাফা সীমান্তের দিকে। আর গাজার খুব নিকটে দক্ষিণ ইজরায়েলে থাকা বিবিসির দুই সাংবাদিক Lyse Doucet ও Lucy Williamson জানাচ্ছেন একেবারে খাঁচাবন্দি পরিবেশ। কারণ রাফা সীমান্ত দিয়ে কোনও গাজা নিবাসীকে বাইরে আসতে দেবে না মিশর সরকার। তবে অন্যান্য দেশের পাসপোর্টধারীদের ছাড় দেবে মিশর সরকার।
সংবাদ সংস্থা AFP জানাচ্ছে, গাজার ভিতর মাটির অভ্যন্তরে বিশাল বিশাল ব্যাঙ্কারে আছে হামাস বাহিনী। তাদের সাথে লড়াই করতে হলে ইজরায়েলি বাহিনীকে প্রবল ক্ষতি স্বীকার করতে হবে। পরিস্থিতি বুঝে পরিকল্পনা করছে ইজরায়েল। তাদের মূল লক্ষ্য হামাসকে নিশ্চিহ্ন করা।
হামাস সংগঠনটি বারবার ইজরায়েলে হামলায় জড়িত। তবে হামাসের দাবি, তারা প্যালেস্টাইনের অধিকার অর্জনের জন্য লড়াই করছে। গাজার শাসক হামাস গত সপ্তাহান্তে শনিবার আচমকা পাঁচ হাজানেন বেশি রকেট হামলা করেছিল। ইজরায়েলের অতি উচ্চ প্রযুক্তির সুরক্ষা বলয় ভেঙে সে দেশে ঢুকে গণহত্যা চালিয়েছিল। এর পরেই যুদ্ধ ঘোষণা করে ইজরায়েল প্রত্যাঘাত চালাচ্ছে।
বিবিসির খবর, গাজায় ফিলিস্তিনি গোষ্ঠি হামাসের সাথে সংঘর্ষ হলেও প্যালেস্টাইন ভূখণ্ডের ওয়েস্ট ব্যাংক শাসক ফাতাহ গোষ্ঠি নীরব। তাদের সদর দফতর রামাল্লা। সেখানে কোনওরকম সংঘর্ষের খবর নেই। বহু বিদেশি রামাল্লায় আছেন। এই অংশের শাসক ফাতাহ গোষ্ঠির মাহমুদ আব্বাস হলেন প্যালেস্টাইন সরকারের প্রেসিডেন্ট।