মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে সিকিমের লোনক হ্রদ ফেটে হড়পা বান! যার ফলে গোটা দেশ থেকে কার্যত বিচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছে সিকিম। প্রবল বেগে তিস্তার জল নেমে আসছে উত্তরবঙ্গের সমতল এলাকায়। আর এই জল স্রোতে ভেসে আসছে একের পরে এক মৃতদেহ। জলে ভেসে আসছে গাড়ি, বাড়ির ভাঙা অংশ। তবে মৃতদেহ গুলি কার, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী উদ্ধারকার্য চালাচ্ছেন। সেচ দফতর, পুলিশ প্রশাসন উদ্ধারকার্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তাঁরাই দেহগুলি জল থেকে টেনে উপরে আনার চেষ্টা করছেন।
উল্লেখ্য, ভোররাতে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে লোনক হ্রদে ফাটল ধরে। ভেসে যায় সেনাছাউনি। জলের তোড়ে ভেসে যান ২৩ জন জওয়ান। তাঁদের এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ মেলেনি।
তিস্তার জলস্তর ১৫-২০ ফুট উচ্চতায় বইছে। পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে সেনার তরফে। কারণ লোনক হ্রদে আরও বড় ফাটল দেখা গিয়েছে। ফলে তিস্তার জলস্তর আরও ২৫ ফুট পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা এবং সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতর। সকাল ১০ টায় তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয়েছে ৮২৫২.৪০ কিউমেক।
এদিকে ভয়াবহ দুর্যোগে বিপর্যস্ত কালিম্পং-ও। জলের তো়ড়ে ধসে গেছে রাস্তা। তিস্তা বাজার, রাম্পু সহ বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং এবং দার্জিলিং যাওয়ার বিকল্প রাস্তার ওপর দিয়েই বইছে জল।