ইলিশ হতে চলেছে আরও মহার্ঘ্য ৷ নিম্নচাপ ও কৌশিকী অমাবস্যার ভরা কোটালের জোড়া ফালায় উত্তাল সমুদ্র। গভীর সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য দফতর। খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে মৎস্যজীবী ও ট্রলারগুলিকে ৷ পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি ইলিশের দাম ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা। খুচরো বাজারে যার দাম বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকা। এদিকে, ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের খোকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। রান্না পুজোর আগে যে ইলিশের যোগান মিলবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন মৎস্যজীবীরা।
কাকদ্বীপ ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, “নিম্নচাপ আর অমাবস্যার কোটালের জেরে কার্যত সমুদ্র উত্তাল হয়েছে। মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পর একে একে গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্যজীবী ও ট্রলারগুলি বন্দরের দিকে ফিরছে। এতে যথেষ্ট লোকসান হয়েছে ৷”
এসবের মাঝে শুক্রবার কাকদ্বীপের কালিনগর দাস পাড়ার কাছে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় ইলিশ ভর্তি একটি ম্যাটাডোর। ক্যারেট বোঝাই প্রায় তিন টনের বেশি ইলিশ ছড়িয়ে পড়েছিল জাতীয় সড়কের পাশে। দুর্ঘটনার পরেই গাড়ির চালক ও খালাসি পালিয়ে যায়। জানা গেছে, ইলিশ ভর্তি করে ম্যাটাডোরটি কাকদ্বীপ থেকে ডায়মন্ড হারবার নগেন্দ্র বাজার মৎস্য আড়তে আসছিল।
খবর পেয়েই জাতীয় সড়কের পাশে ছড়িয়ে থাকা ইলিশ কুড়োতে দৌড়ে আসেন স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা। দ্রুত সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আশেপাশের গ্রামের কয়েকশো বাসিন্দার ভিড় জমে যায় দুর্ঘটনাস্থলে। শুরু হয় ইলিশ লুঠ।
ইলিশের গাড়ি দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হারুউড পয়েন্ট উপকূল থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসেছে দেখে কেউ কেউ তড়িঘড়ি রাস্তায় পড়ে থাকা ইলিশ তুলে নিয়ে ছুটে পালায়। তবে বেশিরভাগ ইলিশ লুঠ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেছে পুলিশ। পরে পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ট্রলার মালিকের লোকজনেরা। তারাই স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতা নিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা ইলিশ কুড়িয়ে ক্যারেট ভর্তি করে নিয়ে যায়।