News Desk: দুদিন আগেই মণিপুরের চূড়াচাঁদপুরে অসম রাইফেলসের কনভয়ে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। এবার মণিপুরেই খোঁজ মিলল বিপুল অস্ত্রভাণ্ডারের। মাটির তলা থেকে এই অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। অস্ত্রের সম্ভার দেখলে দেখে মনে হতে পারে যেন কোনও যুদ্ধ লেগেছে বা যুদ্ধের প্রস্তুতি চলছে। বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র দেখে চোখ কপালে উঠেছে সেনার। সেনাবাহিনীর অনুমান, বড়সড় কোনও হামলার ছক কষেছিল জঙ্গি সংগঠন। এই জঙ্গি সংগঠনকে গোপনে সাহায্য করছিল চিন (China)।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মণিপুর পুলিশ (Manipur Police) এবং অসম রাইফেলসের (Assam Rifles) ফুনড্রেই ব্যাটালিয়ন যৌথভাবে এই অভিযান চালায়। এই তল্লাশি অভিযানে কাকচিং জেলার (Kakching district ) ওয়াবআগাই ইয়ানবি হাই স্কুলের সামনে মাটির তলা থেকে মেলে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে আছে ২০ রাউন্ড এম-৭৯ গ্রেনেড ( M-79 grenade launcher) লঞ্চার। মায়ানমার সীমান্ত লাগোয়া এই জেলায় কীভাবে এত অস্ত্র এল কোনও জঙ্গি সংগঠন মজুত করল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। একটি স্কুলের সামনেই এই অস্ত্র পুঁতে রাখায় জেলা প্রশাসনও বিস্ময় প্রকাশ করেছে। মনে করা হচ্ছে, করোনাজনিত কারণে স্কুল বন্ধ থাকার সুযোগ নিয়ে মাটির তলায় এই সব অস্ত্রশস্ত্র পুঁতে রাখা হয়েছে।
প্রাক্তন সেনাকর্তাদের সন্দেহ, চিন ফের উত্তর-পূর্ব ভারতে অশান্তি পাকাতে চাইছে। সরাসরি পেরে না ওঠায় তারা মায়ানমারের মাধ্যমে ঘুরপথে সীমান্ত লাগোয়া জেলাগুলিতে অস্ত্র পাচার করছে। অস্ত্রের পৌঁছে দিচ্ছে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনকে। তবে শেষ মুহূর্তে সেনা-পুলিশের যৌথ তৎপরতায় জঙ্গিদের বড়সড় নাশকতার ছক ভেস্তে গিয়েছে। পাশাপাশি বড় মাপের কোনও বিপদও এড়ানো গেল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
<
p style=”text-align: justify;”>প্রসঙ্গত, শনিবার মণিপুর-মায়ানমার সীমান্তে অসম রাইফেলসের কনভয়ে বড়সড় জঙ্গি হামলা ঘটে। ওই ঘটনায় এক কম্যান্ডিং অফিসার-সহ অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মণিপুরের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন মনিপুর পিপলস লিবারেশন আর্মি এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে শুধু এই সংগঠনটি একা নয়, চূড়াচাঁদপুরের ওই হামলায় তাদের সঙ্গে ছিল নাগা পিপলস ফ্রন্ট নামে আরও এক জঙ্গি গোষ্ঠী।