Mamata Banerjee: হাঁড়ির হাল রাজ্যে, বিশ্ব ব্যাঙ্ক থেকে বিপুল ঋণ নিচ্ছে মমতার সরকার

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে মূলত সড়ক, রেল ও জলপথের মাধ্যমে পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থাকে আরও মজবুত এবং উন্নত করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।

Mamata Banerjee

শিল্প ও বাণিজ্যে জোর দিতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, বিশ্ব ব্যাঙ্ক থেকে ২৫০০ কোটি ঋণ নিচ্ছে রাজ্য। ঢেলে সাজানো হবে রাজ্যের পরিকাঠামো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে মূলত সড়ক, রেল ও জলপথের মাধ্যমে পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থাকে আরও মজবুত এবং উন্নত করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। ফলে বাড়বে কর্মসংস্থানও। বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রতিনিধির সঙ্গে নবান্নে বৈঠকও সেরেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।

ঋণ নিয়ে পরিকাঠামো ঢেলে সাজানো হলে রফতানি বাড়বে বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহল। রাজ্যের লক্ষ্য হল, আগামী ১০ বছরের মধ্যে রফতানি দ্বিগুণ করা। শুক্রবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও পরিকাঠামো কাউন্সিলের প্রধান সঞ্জয় বুধিয়া, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, একাধিক রফতানি সংস্থা ও বণিক সভার প্রতিনিধিরা।

   

উল্লেখ্য, নতুন শিল্প ও অর্থনৈতিক করিডর নীতি আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই নীতি অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে, দক্ষিণবঙ্গে তৈরি হচ্ছে তিনটি করিডর- (১) রঘুনাথপুর-ডানকুনি-তাজপুর, (২) ডানকুনি–কল্যাণী করিডোর এবং (৩) ডানকুনি-ঝাড়গ্রাম করিডর। এছাড়া পশ্চিম বর্ধমান থেকে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার পর্যন্ত ৬৩৯ কিলোমিটার জুড়ে একটি অর্থনৈতিক ও শিল্প করিডরের কাজ করবে সরকার। এই করিডরগুলি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি, হাওড়া, নদিয়া জেলার মধ্য দিয়ে যাবে।

বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনকে সামনে রেখে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে। যে সব জায়গায় শিল্পের সম্ভাবনা উজ্জ্বল, সেখানে রাস্তা ও অন্যান্য পরিকাঠামো নির্মাণ করা হবে বলে আলোচনা হয়েছে। সড়কপথ, রেলপথ ও জলপথের মধ্যে যাতে সমন্বয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অন্তত ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে মনে করেছে রাজ্য।