যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur Univetsity) আসছে না UGC প্রতিনিধিদল, দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্তর। রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর দাবি, পড়ুয়া মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট পেয়ে সন্তুষ্ট ইউজিসি। সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনার তদন্ত কীভাবে এগোনো হচ্ছে, সেটা জানাতে চেয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই রিপোর্টে আশ্বস্ত হয়েছে ইউজিসি।
উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে এবারে কাটছাট করা হয়েছে । মূল প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করে তাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তাদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন সহ উপাচার্য। তারপরই ইউজিসি-র প্রতিনিধিদলের না আসার তথ্য তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, যাদবপুরকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার মধ্যে একজন প্রাক্তনী। কিন্তু হস্টেলে থাকতেন। বাকি দুজন বর্তমান পড়ুয়া। এই পরিস্থিতিতে সামনে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পুলিশ সূত্রে খবর, মেন হস্টেলের রাঁধুনী তাঁর বয়ানে জানিয়েছেন, সিনিয়ররা জুনিয়রদের উপর নানাভাবে অত্যাচার করত। সিনিয়রদের কথা না শুনলে, বারান্দার সরু রেলিং-এর উপর হাঁটানো হত জুনিয়রদের।
আবার এও জানা গেছে, সিনিয়রদের সঙ্গে জুনিয়রদের ‘আলাপ-পর্বে’র গোটা ভিডিও আকারে তুলে রাখা হত। যাদবপুরের নিহত প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার ক্ষেত্রেও সম্ভবত তেমনটাই হয়েছিল। যেহেতু ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর প্রথম গ্রেফতারি হয়, পুলিশের অনুমান সেই ভিডিও ডিলিট করা হয়ে থাকতে পারে। তাহলে সেই ভিডিও কোথায় ?
উল্লেখ্য, সেই ভিডিও সামনে এলেই গোটা রহস্য উন্মোচন সম্ভব। সেই ভিডিও খোঁজার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে, ধৃত সৌরভ চৌধুরী, দীপশেখর দত্ত ও মনোতোষ ঘোষের মোবাইল ফোন ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।