শনিবার I.N.D.I.A.-র সাংসদরা হিংসাবিধ্বস্ত মণিপুরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতা যান। কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বে সাংসদরা পৌঁছান মণিপুরে। এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন তৃণমূলের (TMC) সুস্মিতা দেব, ডিএমকের (DMK) কানিমোঝি, সিপিএমের (CPM) এএ রহিম, জেডিইউয়ের (JDU) লালন সিংহ, আরজেডির (RJD) মনোজ ঝা, জাভেদ আলি খান, শিবসেনা (বালাসাহেব) (Shiv Sena) অরবিন্দ সাওয়ন্ত, আরএলডির (RLD) জয়ন্ত চৌধুরী, ভিসিকের থল তিরুমালব্যনের মতো বিরোধী জোটের সাংসদেরা।
পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী বিরোধী জোটের সাংসদরা শনিবার ইম্ফল থেকে প্রথমে চূড়াচাঁদপুরের শরণার্থী শিবিরে যাওয়ার কথা জানানো হয়। এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। বিজেপি শাসিত মণিপুরে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে কি রাজ্য অনুমোতি দেবে। তবে বিরোধী জোটের সাংসদদের বাধা দেওয়া হবেনা বলেই জানিয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী।
বিজেপি শাসিত মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ বলেন,”রাজ্যের পরিস্থিতি সরেজমিনে এসে দেখে যান বিরোধী জোটের প্রতিনিধিরা। গণতন্ত্রে কাউকে আটকানো যায় না। রাজ্যের কোনও আপত্তি নেই।’’
I.N.D.I.A.-র সাংসদরা সড়কপথে না গিয়ে কপ্টারে চূড়াচাঁদপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বে ২০ জন সংসদীয় প্রতিনিধিদল। শনিবার তৃণমূলের (TMC) সুস্মিতা দেব বলেন যে ‘‘মণিপুরের প্রকৃত পরিস্থিতি কী, সেটা আমরা বুঝতে চাই।’’ তিনি রাজ্যসভার বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ তথা অসমের নেত্রী। এর আগে, সুস্মিতা দেব গত ১৯ জুলাই তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসাবে দু’দিনের মণিপুর সফরে গিয়েছিলেন। সেই সময় মণিপুরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। কলকাতা ২৪x৭ ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি।
মণিপুরের বিতর্কিত ভিডিও-তে (Manipur Violence) দেখা যায় জাতিগত সংঘর্ষের রেশ ধরে বিজেপি শাসিত মণিপুরে দুই কুকি আদিবাসী মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানো হয়। এই মুহূর্ত বিশ্বজুড়ে প্রবল সমালোচনার মুখে ঠেলে দিয়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে।
গত ৩ মে মণিপুরে জাতিগত সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে ১৬০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। মেইতি গোষ্ঠি তফসিলি উপজাতি (এসটি) মর্যাদার দাবির প্রতিবাদে পার্বত্য জেলাগুলিতে আন্দোলন শুরু করেছিল। তাদের অবস্থানের প্রতিবাদে কুকি গোষ্ঠি সামিল হয়। গত ৪ মে বুধবার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যাচ্ছে মণিপুরে দুই মহিলাকে কয়েকজন পুরুষ নগ্ন করে হাঁটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।