Transfer Window: গত ফুটবল মরশুমে ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনকে দলের দায়িত্ব দেওয়া হলেও আসেনি ভালো পারফরম্যান্স। প্রথমদিকে যথেষ্ট লড়াকু মেজাজে দেখা গেলেও ম্যাচ যত এগিয়েছে পয়েন্ট টেবিলের একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে দলের অবস্থান। তবে সেইসব এখন অতীত। আগত ফুটবল মরশুমে নতুন করে দল সাজিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোই একমাত্র লক্ষ্য লাল-হলুদের।
তাই পুরোনো কোচ বদল করে স্প্যানিশ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে দলের দায়িত্ব। আগত মরশুমে তার কথা মতোই এবার নতুন করেসেজে উঠেছে ইস্টবেঙ্গল দল। তবে গত মরশুমে দলের হয়ে খেলে যাওয়া নাওরেম মহেশ সিং, ক্লেটন সিলভা ও মোবাসিরের মতো ফুটবলারদের দলে রেখে দেওয়া হলেও একসাথে মোট এগারো জন ফুটবলারকে রিলিজ করে দেওয়া হয় দলের তরফে। যাদের মধ্যে ছিলেন জার্ভিস থেকে শুরু করে জেরি ও হিমাংশু জ্যাংরার মতো ফুটবলাররা।
তাদের বদলে দলে এসেছে নন্দকুমার শেখর থেকে শুরু করে, মন্দাররাও দেশাই, নিশু কুমার, প্রভসুখন গীল, গুরসিমরত গীল সহ দলের পুরোনো যোদ্ধা হরমনজোত সিং খাবরা। এছাড়াও বিদেশি ফুটবলারদের মধ্যে সই করানো হয়েছে জাভিয়ের সিভেরিও, বোরহা হেরেরা ও সাউল ক্রেসপোর মতো তারকাকে। তবে সেখানেই শেষ নয় বর্তমানে যতদূর জানা গিয়েছে, পুরোনো ফুটবলার ইভান গঞ্জালেসকে ছেড়ে এশীয় কোটার একজন বিদেশি ডিফেন্ডারকে চূড়ান্ত করবে দল। সেইসাথে আনা হতে পারে আরেক দেশীয় ফরোয়ার্ডকে।
এসবের মাঝেই এবার নিজেদের দুই তারকা ফুটবলারকে রিলিজ করল ইমামি ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট। যাদের মধ্যে রয়েছেন গোলরক্ষক পবন কুমার ও তারকা মিডো আঙ্গুসানা। কিছুদিন আগেই নতুন মরশুমের কথা মাথায় রেখে প্রতিভাবান গোলরক্ষক প্রভসুখন গীলকে সই করিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। যারফলে, স্বাভাবিকভাবেই পবন কুমারের থাকা নিয়ে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। অন্যদিকে অনেকগুলো ফুটবল মরশুম ইস্টবেঙ্গলে থাকলেও এবার আঙ্গুসানাকে রিলিজ করার সিদ্ধান্ত নেয় ম্যানেজমেন্ট।