সালিশি সভায় পঞ্চায়েত সদস্যের সামনে আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ। এর জেরেশিলিগুড়ি মহকুমার বাগডোগরার ভুজিয়াপানি এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে। এর আগে মালদায় মহিলাকে চুরির অভিযোগে বিবস্ত্র করে কয়েকজন মহিলা। এবার দার্জিলিং জেলায় ঘটল এমন কান্ড।
গত বুধবার উনিশে জুলাই গৌরী সরকার ও রেশমির মধ্যে তুমুল ঝগড়া শুরু হয় তারপর তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। এরপরে দু পক্ষের মধ্যে চলে তুমুল ঝামেলা। তবে এই মারপিট থামাতে গিয়েই ঘটে প্রবল বিপত্তি। তাদের ঠেকাতে যায় এক আদিবাসী মহিলা। সব থেমে যাওয়ার পরেও আদিবাসী মহিলাকে ধরে মারধর করা হয়।
এরপরে ওই এলাকার পঞ্চায়েতে একটি সালিশি সভা বসানো হয়। সেখানেও পঞ্চায়েত সদস্যের সামনে ফের আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগ নিয়ে নির্যাতিতা বাগডোগরা থানায় দারস্ত হয়। ইতিমধ্যেই পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করে। এই চারজনকে আজ শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়। এই ঘটনার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে। তাদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
নির্যাতিতা আদিবাসী মহিলা জানিয়েছেন, রেশমি প্রথমে আমাকে আঘাত করে। এরপরে কয়েকজন আমাকে ধরে মারধর করে। মহিলাদের সঙ্গে ছেলেরা মিলেও আমার জামা কাপড় ছিড়ে দেয়। এমনকি ছেলেরা আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত দিয়েছে।
মণিপুরে জাতিগত সংঘর্ষের জেরে সে রাজ্যে একাধিক আদিবাসী মহিলা ধর্ষিত। দুই মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানো হয়। বিজেপি শাসিত মণিপুরে এমন ঘটনার পর দেশ জুড়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে মোদী সরকার। তবে বিজেপির তরফেও বিভিন্ন অ বিজেপি শাসিত রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরা হচ্ছে।পশ্চিমবঙ্গে নারী নির্যাতনের অভিযোগে সরব বিজেপি। অন্যদিকে মণিপুরের ঘটনায় সরব তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।