Kargil Vijay Diwas: ভারতীয় সেনাবাহিনী সবসময়ই তার বীরত্ব দিয়ে দেশবাসীর গর্ব বাড়িয়েছে। এর উদাহরণ ১৯৭১ সালে আমাদের সেনাবাহিনীর কাছে পাকিস্তানকে কার্গিল যুদ্ধেও বিশ্বাসঘাতকতার জন্য ভারী মূল্য দিতে হয়েছিল। ব্রিগেডিয়ার (অব.) এমপিএস বাজওয়া কার্গিল যুদ্ধের এমনই কিছু স্মৃতি শেয়ার করেছেন। ২৬ শে জুন থেকে কার্গিল যুদ্ধ নিয়ে টুইট করছেন বাজওয়া। সেই সময়কালে কী ঘটেছিল সে সম্পর্কে বলেছেন।
তিনি জানান, পাকিস্তানি সেনারা প্রতারণা করে টাইগার হিল দখল করেছে। বেশ কিছু দিনের সংগ্রামের পর, ৪ জুলাই, ১৯৯৯, ভারতীয় সেনাবাহিনী অবশেষে টাইগার হিল পুনরুদ্ধারে সফল হয়। এ সময় সৈন্যদের শহীদ দিতে হয়েছে। ১২ জুলাই থেকে ১৮ জুলাই ১৯৯৯ পর্যন্ত ‘শান্তি’ ঘোষণা করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানকে তার সেনা প্রত্যাহারের জন্য সময় দেওয়া।
কার্গিল যুদ্ধের শেষ দিনগুলির কথা স্মরণ করে বাজওয়া লিখেছেন যে পাকিস্তান থেকে একটি ফোন এসেছিল। তাকে বলা হয়, শত্রুপক্ষের ১৯ ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের কর্নেল মোস্তফা তার সঙ্গে কথা বলতে চান। বার্তাটি ছিল ‘ভারতের জন্য পাকিস্তান’। মোস্তফার সঙ্গে কথা শুরু করেন বাজওয়া।
বাজওয়া মোস্তফাকে জিজ্ঞেস করলেন তিনি কী চান? মোস্তফা বলেন, ‘প্রথমে আমি আপনাকে অভিনন্দন জানাতে চাই যে আপনার সেনাবাহিনী অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করেছে।’ এতে বাজওয়া ধন্যবাদ জানান।
মোস্তফা বললেন, ‘স্যার, আপনার কাছে আমাদের ১৩টি মৃতদেহ এবং সম্ভবত একজন জীবিত সৈনিক আছে। আমি আপনাকে তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। এটা আমার সম্মানের প্রশ্ন। এ বিষয়ে বাজওয়া বলেন, কর্নেল মোস্তফা, এখন আমাদেরকে আরও একবার আক্রমণ করতে হবে।
এতে মোস্তফা বলেন, ‘স্যার, আপনার দরকার হবে না। আমরা নিজেরাই ফিরছি। বাজওয়া হতবাক হয়ে মুস্তফাকে জিজ্ঞেস করলেন কিভাবে তাকে বিশ্বাস করবেন। মুস্তাফা তৎক্ষণাৎ জবাব দিল, ‘স্যার, আমি পাঠান’। বাজওয়া জবাব দিলেন, ‘ঠিক আছে, আমিও একজন সর্দার।’
বাজওয়া মোস্তফাকে বলেছিলেন যে আমরা তার মৃতদেহ পাকিস্তানের পতাকায় মুড়িয়ে পূর্ণ সম্মানের সাথে ফিরিয়ে দেব। তারা আর শত্রু নয়, শুধু সৈনিক। মোস্তফা রাজি হন এবং সমস্ত লাশ ফেরত দেওয়া হয়। তারাও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফিরেছে। এভাবেই কার্গিল যুদ্ধ শেষ হয়েছিল।