পঞ্চায়েত ভোটের গণনার রাতে ভাঙড়ের আইএসএফ জেলা পরিষদ প্রার্থী জাহানারা বেগম জয়ী ঘোষণার পর থেকে স্বামী সহ নিখোঁজ। ৭২ ঘণ্টার পরেও খোঁজ মেলেনি। এর মাঝে ফের এক টিএমসি সমর্থকের মৃত্যুর খবর এসেছে।
ঘটনাস্থল সেই কাঁঠালিয়া। যেখানে গণনার রাতে একাধিক আইএসএফ সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ফের ভাঙড়ে ভোটের বলি আরও এক। কাঁঠালিয়ায় তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন। অভিযোগ আইএসএফের বিরুদ্ধে। নিহতের নাম শেখ মোসলেম।
নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ভোটের আগের দিন রাতে তৃণমূল কর্মীকে রাস্তায় আটকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে। শনিবার সকালে তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করেছে আইএসএফ। পঞ্চায়েত ভোট-সন্ত্রাসে রাজ্যে ৩৮ দিনে ৫৩ জনের মৃত্যু হল। বৃহস্পতিবার ভাঙড়ে রুটমার্চ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও, ভাঙড়ে ফের বলি এক প্রাণ। শুক্রবার ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি তার বিধানসভা এলাকায় ঢুকতে যান। তাকে পুলিশ আটকে দেয়। দীর্ঘ সময় রাস্তায় থেকে ফিরে যান তিনি। ফের তিনি আসবেন বলেছেন।
ভাঙড়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই সংঘর্ষ কবলিত এলাকা ও ক্যানিং বারবার রক্তাক্ত হচ্ছে। ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বনাম প্রাক্তন টিএমসি বিধায়ক আরাবুল ইসলাম সংঘর্ষ চরমে। এই সংঘর্ষের মধ্যে বারবার নাম জড়াচ্ছে ক্যানিং পূর্ব কেন্দ্রের টিএমসি বিধায়ক শওকত মোল্লার। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দুই বিধায়ক যদিও বিধানসভায় শান্তি বার্তা দেন একসাথে। তবে ভোটের মনোনয়ন ও ফল ঘোষণা পরবর্তী সময়ে রক্তাক্ত ভাঙড়।