জ্বলছে আগুন, পুড়ছে মানুষ। চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বোমার সুতলি। সড়ক পথে, ঘাটে বাজারে শুধু রক্তের দাগ। গ্রামের আনাচে কানাচে কান পাতলেই শোনা যায় স্বজন হারার কান্না। গতকাল এই ভাঙড় জুড়েই চলেছে নৃশংসতা। একদিনেই সন্ত্রাসের হাতে প্রাণের বলি তিন। তবে নিহতের সংখ্যা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। একাধিক গুলিবিদ্ধ। তাদের অনেকের খোঁজ নেই বলে অভিযোগ।
ভাঙড়ের কাঠালিয়া স্কুলে ৮৩ নম্বর জেলা পরিষদে গণনা চলাকালীন সময় শুরু হয় প্রবল সংঘর্ষ। অভিযোগ এক আইএসএফ কর্মী জিতে যাওয়া সত্ত্বেও তাকে জেতার সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছিল না। এরপরেরই তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয় গোটা এলাকা জুড়ে। সংঘর্ষের জেরে বন্ধ করে দেয়া হয় গণনা পর্ব। এরপরে গণনা কর্মীদের পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে বাইরে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়।
এখনো গোটা গণনা চত্বরে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ বাহিনী। চারিদিকে পড়ে রয়েছে ভাঙা গাড়ির কাঁচ। যা তুলে ধরছে সংঘর্ষকালীন সময়ের ভয়ংকর পরিস্থিতি। আজও থমথমে গোটা এলাকা। কবে শান্ত হবে এই জ্বলন্ত ভাঙড়? এমনই প্রশ্ন সাধারণ অসহায় মানুষের মনে।