Bhangar: ISF-তৃণমূল সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ এক, এলাকায় তীব্র উত্তেজনা

পঞ্চায়েত ভোটের দিন সকালে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড়। আইএসএফ (ISF) ও তৃণমূল সমর্থক দের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন একজন আইএসএফ সমর্থক। তৃণমূলের…

পঞ্চায়েত ভোটের দিন সকালে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড়। আইএসএফ (ISF) ও তৃণমূল সমর্থক দের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন একজন আইএসএফ সমর্থক। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ।

জানা গিয়েছে সংঘর্ষ হয়েছে ভাঙড়ের চালতাবেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। ঘটনায় আহত হন আইএসএফ কর্মী মুস্তাফার মোল্লা। এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি চলে। সঙ্গে চলে গুলি। এখনও এলাকায় পড়ে রয়েছে তাজা বোমা। 

   

বারুইপুর থানার পুলিশ সুপার নিজে রয়েছেন ঘটনাস্থলে। আহত ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। তার পায়ে গুলি লেগেছে বলে খবর। এখনও এলাকায় ভোট শুরু হয়নি, কিন্তু শুরু হয়ে গিয়েছে সন্ত্রাস। পঞ্চায়েতের দিন ঘোষণার পর মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। 

রাজ্যে ভোট সন্ত্রাসের বলি ২৩ জন (সকাল ৮টা)

রাতেই বোমা বৃষ্টি শুরু হয় ভাঙড়ে। শনিবার সকালে ভাঙড়ের ভোট কেমন হতে চলেছে তা বুঝিয়ে দেয় শুক্রবার রাতের পরিস্থিতি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও বাম-আইএসএফ জোট সমর্থকদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ চলে। ঝাঁটা, কাটারি নিয়ে মহিলারা রাস্তায় নামেন।

ভাঙড়ের সাতুলিয়ায় CPIM ও ISF জোটের সাথে তৃণমূলের সংঘর্ষ চলে। পরপর বোমাবাজিতে উত্তপ্ত এলাকা।তৃণমূলের অভিযোগ, বাম ও আইএসএফ বুথ লুঠ করছে। আর স্থানীয় মহিলারা বলছেন, বিকেল থেকে তৃণমূলের বাইক বাহিনী চক্কর কাটছিল। ওরাই হামলা করেছে। শতাধিক মহিলা ঝাঁটা, কাটারি নিয়ে রাস্তার উপর জড়ো হন। তারাও পাল্টা মার শুরু করেন। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বেই ভাঙড় ছিল রক্তাক্ত। পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে যান রাজ্যপাল। শনিবারও তিনি সংঘর্ষ কবলিত এলাকাটি ফের পর্যবেক্ষণ করবেন বলে রাজভবন সূত্রে খবর।

ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ক্যানিং পূর্ব কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সওকত মোল্লা, তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। গত বিধানসভা ভোটে এই আসনটি তৃণমূলের হাতছাড়া হয়। বিধায়ক তথা ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকির দাবি, এলাকার দখল নিতে মরিয়া তৃণমূল। শাসকদলের অভিযোগ, ভাঙড়ে অশান্তি ছড়াচ্ছেন নওশাদ।

পঞ্চায়েত ভোট আগেও রক্তাক্ত হয়েছে এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। গ্রাম বাংলার গরম মেজাজের ভোট। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোটে একের পর এক রাজনৈতিক খুন, বোমা হামলা, গ্রাম দখলের রাজনৈতিক সংঘর্ষে সবকটি জেলা উত্তপ্ত।রক্তাক্ত ও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সরাসরি নির্বাচন কমিশনকেই তুলোধনা করেছেন। তাঁর নিশানায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। কমিশনের সমালোচনা করছেন রাজ্যপালও বিতর্কে জড়িয়েছেন। কারণ, তিনিই রাজীব সিনহার নামে শিলমোহর দেন।