শেষ ফুটবল মরশুমে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর এবার ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। সেজন্য, গত সুপার কাপ শেষ হওয়ার পর থেকেই দল গঠনের পাশাপাশি নতুন কোচ চূড়ান্ত করার কাজে হাত দিয়েছিল ক্লাব। সেইমতো বহু আলাপ আলোচনার শেষে এপ্রিলের শেষের দিকে কার্লোস কুয়াদ্রাতের নাম ঘোষণা করা হয় দলের তরফ থেকে।
বছর কয়েক আগে যার হাত ধরে আইএসএল জয়ের স্বাদ পেয়েছিল সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফসি।তবে শেষ ফুটবল মরশুমে তিনি ডেনমার্কের একটি ক্লাবের সহকারী কোচের দায়িত্বে থাকলেও আগত দুই মরশুমের জন্য ইস্টবেঙ্গলে আসতে রাজি হয়ে যান এই স্প্যানিশ কোচ। কিন্তু প্রশ্ন ছিল এই সফল কোচের সাপোর্টিং স্টাফ হিসেবে কাদের আনা হবে এই দলে? অবশেষে মিলল সেই উত্তর।
কিছুক্ষন আগেই ইস্টবেঙ্গল দলের অফিসিয়াল সাইট থেকে সরকারিভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় গোলকিপিং কোচ সহ অন্যান্য সাপোর্টিং স্টাফদের নাম। সেই অনুযায়ী এবার ইমামি ইস্টবেঙ্গল দলের গোলকিপিং কোচ হলেন জাভি পিনিলোস। উল্লেখ্য, কার্লোস কুয়াদ্রাতের বেঙ্গালুরু তে থাকাকালীন সেই দলের ও দায়িত্বে ছিলেন এই স্প্যানিশ কোচ। তাই কুয়াদ্রাত আসার পর থেকেই তার যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল প্রবলভাবে। জানা গিয়েছিল, ইস্টবেঙ্গল দলের দায়িত্ব সামলাতে ও নাকি যথেষ্ট উৎসাহ রয়েছে পিনিলোসের। সেটাই চূড়ান্ত হল এবার। যতদূর জানা গিয়েছে, আসন্ন দুইটি মরশুমের জন্য দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পিনিলোস কে।
তবে সেখানেই শেষ নয়। দলের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছেন আরও দুইজন স্টাফ। যাদের মধ্যে স্পোর্টস সাইনটিস্ট হিসেবে আসলেন আলবার্ট মার্টিনেজ বার্নেট। পাশাপাশি ইমামি ইস্টবেঙ্গল দলের ফিজিও হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সিনেন ফার্নান্দেজ আলভারেজ। বলাবাহুল্য, কার্লোস কুয়াদ্রাতের বেঙ্গালুরুতে থাকার সময় এনাদের হাতেই ছিল দলের যাবতীয় দায়িত্ব। তাই এবার সেই পুরোনো স্টাফদের ফিরিয়ে এনে নিজেদের কে সাফল্যের সরনীতে ফেরাতে মরিয়া কলকাতার এই প্রধান ক্লাব।