গোটা পাকিস্তানের অবস্থা এখন সঙ্কটজনক। চরম দুর্ভোগে পাকিস্তানবাসী। এই পরিস্থিতিতে, পিওকে থেকে ভারতে যোগ দেওয়ার দাবি বারবার উঠতে থাকে। একই সঙ্গে পাকিস্তানের পাশাপাশি চিনকেও কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)।
পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে) নিয়ে সোমবার একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। রাজনাথ সিং বলেন, এখন PoK কে ভারতের সঙ্গে একীভূত করার দাবি উঠেছে, সেখানে আমাদের বেশি কিছু করতে হবে না। জম্মুতে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পাকিস্তানকে আক্রমণ করেন এবং সন্ত্রাসের জন্য প্রতিবেশী দেশটির তীব্র নিন্দা করেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমলে দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে”। পিওকে প্রসঙ্গে রাজনাথ সিং বলেছেন যে, “সেখানকার মানুষ অবিরাম ভারতে যোগ দেওয়ার দাবি করছে, এমন পরিস্থিতিতে আমাদের বেশি কিছু করার দরকার নেই”। জম্মুতে বক্তৃতায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ পাকিস্তানের পাশাপাশি চিন সম্পর্কে একটি বিবৃতি দিয়েছেন এবং বলেছেন যে “আমাদের সেনাবাহিনী এলএসি-তে চিনকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে”।
পাকিস্তানের ভূমি থেকে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানো প্রসঙ্গে রাজনাথ সিং বলেছেন যে ২০১৯ সালে যখন পুলওয়ামা হামলা হয়েছিল, “প্রধানমন্ত্রী মোদী দশ মিনিটের মধ্যে পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এরপর ভারতীয় সেনাবাহিনী সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসীদের নিশ্চিহ্ন করে”। রাজনাথ সাফ জানিয়ে দেন, প্রয়োজনে সীমান্তের ওপারে গিয়েও ভারত শত্রুদের খতম করতে পারে।
পাকিস্তান বর্তমানে দৈন দশায় ভুগছে। গোটা দেশের অবস্থা সঙ্কটজনক। রাজনৈতিক ফ্রন্টে পাকিস্তানের অবস্থা খুবই খারাপ। এর মধ্যেই আবার পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে সময়ে সময়ে পিওকেতে বিক্ষোভ হয়। এই কারণেই ভারত সরকার PoK ফ্রন্টে নজরদারি রাখে। অন্যদিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের আজকের এই বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে প্রকাশ পায়।
পাকিস্তানের পাশাপাশি চিনকে কড়া বার্তা দিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, চিন সীমান্তে সব সময়ই কিছু না কিছু করছে, কিন্তু চিন যে ভারতের জমি দখল করেছে তা ভুল। আমাদের সাহসী সেনাবাহিনী সীমান্তে চিনের প্রতিটি উদ্দেশ্য ভঙ্গ করেছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসাবে ৯ বছর পূর্ণ হওয়ায় এখানে মোদী সরকারের অর্জনের বিষয়ে রাজনাথ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে গত ৯ বছরে বিশ্বে ভারতের মর্যাদা বেড়েছে। এমনকি অর্থনীতির দিক থেকেও ভারত এখন বিশ্বের শীর্ষ ৫টি দেশের মধ্যে রয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিদেশ সফরের কথাও উল্লেখ করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন মোদীকে বস বলেছেন, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেনকে তার অটোগ্রাফ চাইতে দেখা গেছে”।