Mango Diplomacy: ইউনূসের আম কূটনীতি, মোদীকে হাঁড়িভাঙা আম উপহার

শেখ হাসিনার জমানায় আম উপহার আসত। এখন তিনি দেশছাড়া। ভারতে আশ্রিত। তবে আমে কী আসে যায়! আম কূটনীতি (Mango Diplomacy) বজায় রেখে বিখ্যাত হাঁড়িভাঙা আম…

Modi Yunus

শেখ হাসিনার জমানায় আম উপহার আসত। এখন তিনি দেশছাড়া। ভারতে আশ্রিত। তবে আমে কী আসে যায়! আম কূটনীতি (Mango Diplomacy) বজায় রেখে বিখ্যাত হাঁড়িভাঙা আম বাংলাদেশ থেকে উপহার পাঠালেন দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

গতবছর গণবিক্ষোভে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর নোবেলজয়ী ইউনূস বাংলাদেশের প্রশাসক। তার সময়ে ঢাকা-নয়াদিল্লির কূটনৈতিক সম্পর্ক সর্বাধিক গরম। তুলনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক অনেক নরম।

   

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে রংপুরের বিখ্যাত হাঁড়িভাঙা আম প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে উপহার হিসেবে পাঠানো হল। দিল্লিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে এমন জানা গেছে, কূটনৈতিক আমের চালান ভারতের রাজধানীতে পৌঁছে গেছে। খুব শিগগিরই সেটি প্রধানমন্ত্রী মোদীর বাসভবন সাত নম্বর লোককল্যাণ মার্গে‍ পাঠানো হবে।

আমের মরশুমে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সরকারের তরফে আম উপহার পাঠানোর রেওয়াজ শুরু হয়েছিল শেখ হাসিনা যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। হাসিনার পতনের পর ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকারও সেই কূটনৈতিক পরম্পরা বজায় রেখেছে। 

Advertisements

বাংলাদেশের দুই প্রতিবেশী বাংলা ভাষীদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীদের আম পাঠাতেন শেখ হাসিনা। ড. ইউনূসের আমলে এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। ত্রিপুরা রাজ্য সরকার ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য উপহার হিসেবে ৩০০ কেজি রংপুরের বিখ্যাত হাঁড়িভাঙা আম পাঠানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও এরকমই উপহার যাবে।

বাংলাদেশ থেকে ‘পলাতক’ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে। চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের মামলা। ঢাকার দাবি, দ্রুত শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করুক ভারত সরকার। তবে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে নীরব ভারত সরকার। তিনি দিল্লিতেই ভারত সরকারের বিশেষ নিরাপত্তায় আছেন।

হাসিনা শাসনের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা আক্রান্ত বলে অভিযোগ ওঠে। তবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সেই অভিযোগের জবাবে বলে, আক্রান্তরা শেখ হাসিনার সমর্থক তাই তারা গণরোষের শিকার। বহু মুসলমানও রোষের কবলে পড়েছেন। এদিকে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলার প্রতিবাদে বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় থাকা বাংলাদেশের সহকারি দূতাবাসে একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হামলা করেছিল। তার জেরে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক তিক্ততার চরমে ওঠে। পরে ভারতের তরফে দূতাবাস হামলার নিন্দা করা হয়।