তবে হাসিনাকে আশ্রয় দিলেও ভারতের বিরুদ্ধে সরাসরি হাসিনাকে ক্ষমতায় ফেরানোর প্রচেষ্টা করার অভিযোগ তোলেননি ইউনূস। এ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘আমি ঠিক এ ভাবে কথাগুলো বলব না। তবে এ সম্ভাবনা রয়েছে যে বাইরের কিছু শক্তি তাঁকে (হাসিনা) বাংলাদেশে ফিরে আসতে সহায়তা করবে। আমরা সব সময় এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন।’’
Also Read | UPI পেমেন্ট, ব্যাংক চার্জ থেকে ট্রেনের টিকিট বুকিং… আজ থেকে বদল এই ১৪টি নিয়মে
হাসিনার প্রত্যাবর্তন নিয়ে ইউনুস বলেন ইউনূস বলেন, “ভারত যদি নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সম্ভবত তারা তাঁকে রেখে দেবে। যদি আইনি বাধ্যবাধকতা থাকে, যা তারা এড়াতে পারবে না, তখন পরিস্থিতি ভিন্ন হবে।” এছাড়া, ভারতের বিরুদ্ধে সরাসরি হাসিনাকে ক্ষমতায় ফেরানোর প্রচেষ্টার অভিযোগ তোলেননি তিনি। তবে তাঁর মন্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, হাসিনার ফেরা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।
ইউনূস মোদীর সঙ্গে তাঁর হাসিনা সংক্রান্ত আলোচনার বিস্তারিতও প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে দু’টি বিষয় বার্তা দিয়েছিলাম। প্রথমত, আপনারা যদি তাঁকে রাখতে চান, তাঁর সঙ্গে কী করবেন, তা আমি বলতে পারি না। তবে এটা যেন নিশ্চিত করেন যে, তিনি আমাদের সম্পর্কে কথা বলবেন না। তিনি যেন বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে কথা না বলেন।” কিন্তু মোদীর জবাবে ইউনূস সন্তুষ্ট নন।
তিনি জানান, “মোদী বলেছিলেন, ‘আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না’।” এই জবাব ইউনূসকে হতাশ করেছে, কারণ হাসিনা নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় বক্তৃতা দিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ইউনূস নিউ ইয়র্কে বসে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের অভিযোগ খারিজ করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করিনি।
Also Read | তালের মাঝে তাল কাটলো ডিমে! গরবা উৎসবে বিদ্বেষ-বার্তা?
শুধু তাদের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।” তবে আগামী বছরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেওয়া হবে না, সে কথা স্পষ্ট। এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয়।ইউনূসের এই মন্তব্য ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। গত এপ্রিলে ব্যাঙ্ককে বিআইএমএসটিইসি সম্মেলনে মোদী-ইউনূসের বৈঠকে হাসিনার প্রসঙ্গ উঠলেও কোনো সমাধান হয়নি।