উহান ল্যাবে নতুন করোনাভাইরাস আবিষ্কার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তা!

চিনের (China) উহান ভাইরোলজি ইনস্টিটিউটের (WIV) গবেষকরা একটি নতুন করোনাভাইরাস (Coronavirus) আবিষ্কার করেছেন, যা কোভিড-১৯ (COVID-19) এর জন্য দায়ী ভাইরাসের মতোই বাদুড়ের মধ্যে পাওয়া গেছে।…

wuhan-lab-new-coronavirus-discovered-who-warning

চিনের (China) উহান ভাইরোলজি ইনস্টিটিউটের (WIV) গবেষকরা একটি নতুন করোনাভাইরাস (Coronavirus) আবিষ্কার করেছেন, যা কোভিড-১৯ (COVID-19) এর জন্য দায়ী ভাইরাসের মতোই বাদুড়ের মধ্যে পাওয়া গেছে। এই নিয়ে ব্লুম্বার্গ রিপোর্টে জানিয়েছে, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য নতুন একটি ঝুঁকি তৈরি করতে পারে এটি।

নতুন এই ভাইরাসটি এখনও মানুষের মধ্যে শনাক্ত হয়নি। তবে গবেষকদের মতে, এই ভাইরাসটি কোভিড-১৯ (COVID-19) এর মতো একই রিসেপ্টর ব্যবহার করে মানুষের কোষে প্রবেশ করে। ভাইরাসটি মানুষের এবং অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর দেহে ছড়িয়ে থাকা একটি প্রোটিনের সাথে যুক্ত হয়ে কোষে সংক্রমণ ঘটায়। শরীরের মধ্যপ্রাচ্য শ্বাসতন্ত্র সিনড্রোম (MERS) সৃষ্টি করা করোনাভাইরাস পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কি রয়েছে ভাইরাসটির।

   

মঙ্গলবার সেল জার্নালে প্রকাশিত একটি পেপারে গবেষকরা এই আবিষ্কারের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন, যা প্রাণী থেকে মানুষে ভাইরাসটির সংক্রমণের সম্ভাবনা নিয়ে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই ভাইরাসের বৈশিষ্ট্যগুলি কোভিড-১৯ (COVID-19) এবং MERS-এর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, যার ফলে এটি মানবজাতির জন্য আরও একটি নতুন স্বাস্থ্য ঝুঁকিরও হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর তথ্য অনুযায়ী, MERS ভাইরাসটি ২০১২ থেকে ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় ২,৬০০ জন মানুষকে সংক্রমিত করেছে এবং এর মধ্যে ৩৬% রোগী মারা গেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে সৌদি আরবে।

উহান ভাইরাস রিসার্চ সেন্টার করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা করার জন্য পরিচিত। কোভিড-১৯ মহামারীর শুরু নিয়ে একাধিক তত্ত্ব রয়েছে, যার মধ্যে একটি তত্ত্ব হল ভাইরাসটি উহান ল্যাব থেকে লিক হয়ে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল, সম্ভবত কোনও সংক্রামিত কর্মীর মাধ্যমে।

তবে গবেষকরা পূর্বে দাবি করেছেন যে, তারা এমন কোনও ভাইরাস নিয়ে কাজ করেননি যা মহামারীর জন্য দায়ী হতে পারে। ২০২৩ সালে, যুক্তরাষ্ট্র উহান ল্যাবের জন্য তহবিল বন্ধ করে দেয়, যা আগে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইকোহেলথ অ্যালায়েন্স থেকে অর্থ পেয়ে আসছিল।

এই নতুন ভাইরাসের আবিষ্কারটি বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে, বিশেষত ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর শেয়ার মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই নতুন ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য এবং তার প্রভাব পর্যবেক্ষণ করার জন্য সতর্ক রয়েছেন, এবং শিগগিরই এর বিষয়ে আরও গবেষণা চালানো হবে।