নয়াদিল্লি: পহেলগাঁওয়ের মাটিতে ২৬ জন ভারতীয়র রক্ত ঝরেছিল ২২ এপ্রিল। সেই ঘটনার পর থেকেই নীরবে প্রস্তুতি নিচ্ছিল ভারত। বুধবার ভোররাতে সেই নীরবতা ভাঙল বজ্রনিনাদে। পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরে অবস্থিত জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তইবার মূল জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে নিশানা বানিয়ে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ভাষায়—এই হামলা ছিল “নির্ভুল, নির্দিষ্ট ও সীমিত”। কিন্তু বার্তা ছিল বিস্ফোরণের চেয়েও জোরালো—রক্ত ঝরালে রেহাই নেই!
মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে আঘাত
সূত্রের খবর, পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুরে জইশ-এর সদর দফতর ও মুরিদকেতে লস্কর-এর মূল ঘাঁটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে। মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে আঘাত হানা হয়। পাকিস্তান ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, অন্তত ৮ জন নিহত এবং তারা পাল্টা গোলাবর্ষণ শুরু করেছে। ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের গোলায় নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর তিনজন ভারতীয় বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক তীব্র বিবৃতিতে জানায়, “পহেলগাঁওয়ের বর্বর হামলার নেপথ্যে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এটা ভারতের প্রতিশ্রুতি—যা আমরা রেখেছি। দেশের রক্তে কেউ হাত দিলে, তার মূল্য দিতে হবে!”
আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রতিক্রিয়া ঝড়ের মতো World Leaders Reacted To Indian Strikes
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, “লজ্জার বিষয়… ওরা দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছে। আশা করি, খুব শীঘ্রই থেমে যাবে।” মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে কথা বলেন ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের আশা প্রকাশ করেন।
চিন: চিনের বিদেশ মন্ত্রক দুই দেশের প্রতি “সংযম প্রদর্শন” করার আবেদন জানালেও, ভারতীয় কূটনীতিকরা মনে করছেন—চিনের বক্তব্য নিস্প্রভ, কারণ তারা জঙ্গিদের আশ্রয়দাতা পাকিস্তানকে একবারও দোষারোপ করেনি।
ইজরায়েল: সরাসরি ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে ইজরায়েল। রাষ্ট্রদূত রেউভেন আজার বলেন, “সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই। ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারকে আমরা সমর্থন করি।”
রাষ্ট্রসংঘ: মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস-এর মুখপাত্র জানিয়েছেন, “এই সংঘর্ষ আন্তর্জাতিক শান্তির জন্য হুমকি।” ভারত-পাক উভয় পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম দেখাতে বলা হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহী (UAE): UAE-ও কূটনৈতিকভাবে ভারত ও পাকিস্তানকে সংযম ও আলোচনার পথে ফিরে আসার আবেদন জানিয়েছে।
জঙ্গিরা ভাবছিল নিরাপদ? ভারত দেখিয়ে দিল—‘তোমাদের আর আশ্রয় নেই’!
বিস্ফোরণে লস্কর ও জইশের মূল ঘাঁটি গুঁড়িয়ে যাওয়ায় পাকিস্তান এখন আন্তর্জাতিক মহলে চাপে। ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে, এই অপারেশন শুধুমাত্র জঙ্গিদের বিরুদ্ধে। পাক সেনা বা সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি। কিন্তু বার্তা স্পষ্ট—পরের বার আরও কঠোর হবে জবাব।
World: India retaliates for Pahalgam attack, striking 9 terror camps in Pakistan & PoK, destroying LeT & JeM key bases. Strong message after civilian deaths. International reaction mixed.