ট্রাম্পের জয়ের পর আতঙ্কে কৃষ্ণাঙ্গেরা, বর্ণবিদ্বেষী মেসেজে উত্তেজনা, তদন্তে এফবিআই

ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) জেতার পরই জাতি বৈষম্য মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে আমেরিকায়। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে  (United states of America) বিভিন্ন প্রান্তে কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের কাছে বর্ণবিদ্বেষমূলক…

Racist text messages referencing slavery raise alarms in multiple states

ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) জেতার পরই জাতি বৈষম্য মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে আমেরিকায়। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে  (United states of America) বিভিন্ন প্রান্তে কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের কাছে বর্ণবিদ্বেষমূলক ও কটাক্ষপূর্ণ মেসেজ পাঠানো হয়েছে, যা  নিয়ে গোটা দেশে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এই বার্তাগুলি ক্রীতদাসপ্রথার রেফারেন্সে তৈরি করা হয়েছে এবং এগুলি বিভিন্ন বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষ, মহিলা ও শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এমনকি, কিছু বার্তা মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছেও পৌঁছেছে, যা আরও উদ্বেগ বাড়িয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে তদন্ত শুরু করেছে এফবিআই এবং অন্যান্য এজেন্সি।  

বাইডেন সরে যাক! বাকি দিনগুলি কমলাই প্রেসিডেন্ট হোক, উত্তাল আমেরিকা

   

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বার্তাগুলি নিউ ইয়র্ক, আলাবামা, ক্যালিফোর্নিয়া, ওহাইও, পেনসিলভেনিয়া ও টেনেসির মতো রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কৃষ্ণাঙ্গদের ফোনে পাঠানো হয়েছে। বার্তাগুলির ভাষা প্রায় একই ধরনের হলেও কিছু ভিন্নতা রয়েছে। কয়েকটি বার্তায় প্রাপকদের নির্দিষ্ট সময় এবং ঠিকানায় “সামগ্রীসহ” উপস্থিত হতে বলা হয়েছে, আবার কিছু বার্তায় নির্দিষ্ট কোনো স্থান উল্লেখ করা হয়নি। কিছু বার্তায় আসন্ন প্রেসিডেন্ট প্রশাসনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা বার্তাগুলিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে।

এখনও পর্যন্ত, কারা এই বার্তাগুলির পেছনে রয়েছে তা স্পষ্ট নয় এবং কোথায় কোথায় এই বার্তাগুলি পাঠানো হয়েছে তার সঠিক তালিকাও পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা এর শিকার হয়েছে, যা একটি জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। 

আর বেশিদিন নয়! কানাডায় ট্রুডো পতনের দিন জানালেন ‘কিং মেকার’ মাস্ক

ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) (FBI) এই বিষয়টি নিয়ে মার্কিন বিচার বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করছে। পাশাপাশি, ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন (এফসিসি) এই মেসেজগুলো তদন্তে যুক্ত হয়েছে এবং জানিয়েছে যে, তারা ফেডারেল ও রাজ্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে একযোগে কাজ করছে। এছাড়া, ওহাইও অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকেও জানানো হয়েছে যে, এই ঘটনাটি তারা খুব গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে। 

জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান তালিবানের, বিশ্বমঞ্চে আফগান প্রতিনিধিরা

এই ধরনের বর্ণবিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ড কেবল আক্রান্তদের জন্য মানসিকভাবে আঘাতজনক নয়, বরং এটি আমেরিকার সামাজিক ব্যবস্থার জন্যও একটি বড়সড় হুমকি। স্থানীয় কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায় ও মানবাধিকার সংগঠনগুলি এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এটি একটি জাতীয় ইস্যুতে পরিণত হয়েছে এবং সকলের নজর এখন ফেডারেল ও রাজ্য সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।