ওয়াশিংটন: ট্রাম্প জমানার শুরুতেই অসন্তোষ৷ প্রেসিডেন্টের উপর খেপলেন রূপান্তরকামীরা৷ কারণ এবার থেকে আমেরিকার সরকারি খাতায় লিঙ্গ দু’টি- পুরুষ এবং স্ত্রী। আর কোনও লিঙ্গকে স্বীকৃতি দেবে না ট্রাম্প সরকার। সোমবার প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই সরকারী নীতি স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। কুর্সিতে বসার পরই ট্রাম্প জানিয়ে দেন, শীঘ্রই এ বিষয়ে একটি নির্বাহী আদেশও জারি করা হবে।
দেশের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা, আমেরিকান ফেডারেল সরকার শুধুমাত্র দুটি লিঙ্গ – পুরুষ এবং মহিলা-কেই স্বীকৃতি দেবে। ট্রাম্প বলেন, “আজ থেকে, এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আনুষ্ঠানিক নীতি হবে৷’’
সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’ -এর রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, নির্বাহী আদেশ অনুসারে পাসপোর্ট, ভিসা এবং অন্যান্য সমস্ত সরকারি নথিপত্রে কেবলমাত্র পুরুষ এবং মহিলা— এই দু’টি লিঙ্গের উল্লেখ থাকবে। শারীরিক গঠনগত দিক থেকে যে মানুষ যে লিঙ্গের, সেটিই উল্লেখ করতে হবে সরকারি নথিতে। কোনও পুরুষ নিজেকে মহিলা, আবার কোনও মহিলা নিজেকে পুরুষ মনে করতেই পারেন৷ সরকারি নথির ক্ষেত্রে এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে৷
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রান্সজেন্ডার অধিকার একটি বিতর্কিত রাজনৈতিক বিষয় হয়ে উঠেছে। গত নির্বাচনী প্রচারে, অনেক রিপাবলিকান ট্রান্সজেন্ডার আইন বাতিল করার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন, বিশেষ করে ট্রান্সজেন্ডার মহিলাদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণের উপর বিশেষ জোর দিয়েছিলেন।
“শপথ গ্রহণের একদিন আগে একটি প্রাক-উদ্বোধনী সমাবেশে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে তিনি ‘নারীদের খেলাধুলায় সমস্ত পুরুষদের প্রবেশ বন্ধ’ করার পদক্ষেপ নেবেন। তিনি লিঙ্গ-স্বীকৃতি সম্পর্কিত চিকিৎসা সীমিত করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
ট্রাম্পের নবগঠিত প্রশাসনের এক কর্তা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানান যে বৈচিত্র্য, সমতা এবং অন্তর্ভুক্তি (DEI) প্রোগ্রামগুলির উপর ‘খুব শীঘ্রই’ আরও পদক্ষেপ করা হবে৷
তবে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকতে নারাজ আমেরিকায় তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার রক্ষার সবচেয়ে বড় সংগঠন ‘হিউম্যান রাইট্স ক্যাম্পেন’৷ সংগঠনের সভাপতি কেলি রবিনসন বলেন, “আমরা পিছু হটছি না। ভয়ও পাচ্ছি না। আমরা কোথাও পালিয়ে যাব না। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।”