আমেরিকার ইতিহাসে প্রথমবার নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগে মৃত্যুদণ্ড হবে। দণ্ডিত হবেন কেনেথ স্মিথ।১৯৮৮ সালে এলিজাবেথ সেনেট নামের এক মহিলাকে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হন স্মিথ। তীব্র উত্তেজনা আমেরিকায়।
২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ স্মিথকে ইনজেকশন প্রয়োগ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অনুমতি দেন। ৯ জন বিচারপতিবিশিষ্ট আদালতের ৩ জন বিচারপতি এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ভিন্নমত জানিয়েছিলেন।
এলিজাবেথ সেনেটকে খুন করার জন্য কেনেথ স্মিথ এবং তার এক সহযোগীকে ভাড়া করেছিলেন ওই মহিলার স্বামী চার্লস সেনেট। বিমার টাকা পেতে এই ষড়যন্ত্র করেছিলেন চার্লস। পরে তিনি আত্মহত্যা করেন। এই হত্যার ঘটনায় স্মিথের সহযোগীকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ২০১০ সালে তাদের দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এবার স্মিথের শাস্তি।
কী এই নাইট্রোজেন হাইপোক্সিয়া? বিশেষজ্ঞদের মতে নাইট্রোজেন হাইপোক্সিয়ার মাধ্যমে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হলে বন্দীকে বিশুদ্ধ নাইট্রোজেন শ্বাস নিতে বাধ্য করা হবে। শারীরিক কার্যাবলী বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন অক্সিজেন। এই পদ্ধতিতে অক্সিজেন থেকে বন্দীকে বঞ্চিত করা হবে।
আলাবামা (Alabama state) স্টেট কর্মকর্তাদের মতে, একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। প্রথমত, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে এক্সিকিউশন চেম্বারে গার্নিতে বেঁধে রাখা হবে এবং তারপর তার মুখে একটি “NIOSH-অনুমোদিত টাইপ-সি ফুল ফেসপিস সরবরাহ করা এয়ার রেসপিরেটর” বসানো হবে। রাষ্ট্রীয় প্রোটোকল অনুসারে, ওয়ার্ডেন মৃত্যুদণ্ড পড়ার পর, নাইট্রোজেন গ্যাস কমপক্ষে ১৫ মিনিট বা “ইকেজি-তে একটি ফ্ল্যাটলাইন ইঙ্গিতের পরে পাঁচ মিনিটের জন্য পরিচালিত হবে, যেটি দীর্ঘ হয়”।