ওয়াশিংটন: পহেলগাঁও হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের উত্তেজনা তুঙ্গে। এরই মধ্যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে কূটনৈতিক বার্তা পাঠিয়েছে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, পহেলগাঁও হামলার পিছনে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবা’র হাত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই হামলার উপযুক্ত প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷ পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর ভারত একাধিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
হামলার দায় অস্বীকার পাকিস্তানের
পাকিস্তান এই হামলার দায় অস্বীকার করে একটি নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে। পাকিস্তান সরকারের বক্তব্য, তারা আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিরপেক্ষ তদন্ত চায়। এদিকে, পাকিস্তানকে সমর্থন জানিয়ে চিনও তাদের অবস্থান প্রকাশ করেছে। চিন পাকিস্তানের দাবি মেনে, একটি নিরপেক্ষ তদন্তের পক্ষে সুর চড়িয়েছে, যা ভারতের কূটনীতিকদের জন্য নতুন এক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
ভারতের পাশে আমেরিকা US support India
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যা দীর্ঘদিন ধরে ভারতকে কৌশলগত মিত্র হিসেবে দেখছে, পহেলগাঁও হামলার পর সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে তারা ভারতকে সম্পূর্ণ সমর্থন জানাবে। তবে,উভয় পক্ষকেই দায়িত্বশীল ভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে বলেও অভিমত তাদের। ট্রাম্প প্রশাসনের বিদেশ দফতরের এক মুখপাত্র বলেন, “আমেরিকা ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, ‘‘এটা ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি। কী কী ঘটছে, তার উপর আমরা নজর রেখেছি। দায়িত্বশীল সমাধান খুঁজে নেওয়ার জন্য আমেরিকা উভয়পক্ষকেই উৎসাহিত করতে চাইছে।’’ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও একই বার্তা দিয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদক্ষেপ। যদিও পাকিস্তান ভারতকে তার পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সর্তক করেছে, কিন্তু আমেরিকার এই শক্তিশালী সমর্থন ভারতের কূটনৈতিক অবস্থানকে আরও দৃঢ় করেছে।
পাকিস্তানকে চিনের সমর্থন
অপরদিকে, চিনের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের সমর্থন ভারতীয় সরকারের জন্য একটি নতুন চাপ সৃষ্টি করেছে। চিন পাকিস্তানের জন্য একটি নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে, যা ভারতীয় কর্মকর্তাদের জন্য এক ধরণের অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে। চিনের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে একটি বড় প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের কৌশলগত সম্পর্ক অনেক শক্তিশালী।
পহেলগাঁও হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের আরও উত্তেজনাপূর্ণ পর্যায়ে চলে গেছে। দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক এবং সামরিক পদক্ষেপ নিচ্ছে, এবং এই পরিস্থিতি সামাল দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক পদক্ষেপ, চিনের সমর্থন, এবং পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া আন্তর্জাতিক মঞ্চে নতুন একটি সংকটের সৃষ্টি করেছে। ভবিষ্যতে, এই উত্তেজনা কিভাবে প্রশমিত হবে এবং ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের উন্নতির জন্য কোন পথে এগোতে হবে, তা নির্ধারণ করবে আন্তর্জাতিক কূটনীতির নতুন অধ্যায়।
World: Amidst heightened India-Pakistan tensions after the Pahalgam attack (linked to Lashkar-e-Taiba), the US strongly supports India. Pakistan denies involvement, seeks neutral probe, backed by China. PM Modi vows retaliation. US urges responsible handling of the situation, expressing solidarity with India.