ইরানি নৌবাহিনী ও মার্কিন যুদ্ধবিমান মুখোমুখি, পারস্য উপসাগর তোলপাড়

সংকীর্ণ এক জলপথ-হরমুজ প্রণালী। যে পথ আটকে দিলে বিশ্বে তেল বাণিজ্যের বড় অংশ থমকে যাবে। কূটনৈতিক ইস্যুতে বারবার এই জলপথটি আটকে দিয়ে ইরান সরকার যথেষ্ট…

ইরানি নৌবাহিনী ও মার্কিন যুদ্ধবিমান মুখোমুখি, পারস্য উপসাগর তোলপাড়

সংকীর্ণ এক জলপথ-হরমুজ প্রণালী। যে পথ আটকে দিলে বিশ্বে তেল বাণিজ্যের বড় অংশ থমকে যাবে। কূটনৈতিক ইস্যুতে বারবার এই জলপথটি আটকে দিয়ে ইরান সরকার যথেষ্ট বেগ দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। পারস্য উপসাগরের সেই হরমুজ প্রণালী ঘিরে ফের গরম হাওয়া বইতে শুরু করল। এখানেই নিজেদের যুদ্ধ বিমান মোতায়েন করার কথা জানিয়েছে ওয়াশিংটন। প্রত্যুত্তরে তেবরান মোতায়েন করছে তাদের নৌ বাহিনী। উপসাগরে ফের মুখোমুখি দুই দেশ।

মর্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জানিয়েছে, ইরানি অবরোধ থেকে জাহাজ রক্ষার জন্য হরমুজ প্রণালী এলাকায় যুদ্ধবিমান এফ-১৬ মোতায়েন করা হবে। হরমুজ প্রণালীতে ইরান যাতে কোনও জাহাজ আটক করতে না পারে সে জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের শেষে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাঠানো হবে।

গত সপ্তাহে ইরানের নৌবাহিনী হরমুজ প্রণালীর কাছে দুটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার আটক করার চেষ্টা করে। ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়, তেহরানের একটি জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর আদালতের নির্দেশে একটি ট্যাঙ্কার আটক করা হয়। এর পর এই অঞ্চলে ফের উত্তেজনা বেড়েছে।

Advertisements

ইরান সরকারও জানিয়েছে, হরমুজ প্রণালীতে কোনওরকম মার্কিনি জবরদস্তি বরদাস্ত করা হবে না। ইরানের জলসীমা পার করলেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপদ আছে। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে উপসাগরী অঞ্চলে থাকা তেলবাহী জাহাজের বাড়তি নিরাপত্তা দিতে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হবে। বাড়বে সামরিক উপস্থিতি।