মার্কিন প্রেসিডেন্ট কেনেডিকে খুন করা হয়েছিল, ভাইপো ট্রাম্প সরকারের মন্ত্রী!

US Politics: ফের মার্কিন প্রশাসনে কেনেডি পরিবার! ১৯৬৩ সালে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল তখন জুনিয়র রবার্ট কেনেডির (Robert F.…

Trump

US Politics: ফের মার্কিন প্রশাসনে কেনেডি পরিবার! ১৯৬৩ সালে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল তখন জুনিয়র রবার্ট কেনেডির (Robert F. Kennedy Jr.) বয়স ছিল নয় বছর। নিহত প্রেসিডেন্ট ছিলেন জুনিয়র কেনেডির কাকা। বছর পাঁচেকের মধ্যে ১৯৬৮ সালে রবার্টের পিতা সিনিয়র কেনেডিকে প্রকাশ্যে খুন করা হয়। এই জোড়া খুন কেনেডি পরিবারকে বারবার বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে এনে ফেলে। মার্কিন রাজনীতিতে (US Politics) পরপর রক্তাক্ত হওয়া কেনেডি পরিবারের সেই সদস্য এখন ট্রাম্প সরকারের মন্ত্রী!

কাকা ও পিতার রাজনৈতিক শিবির ডেমোক্র্যাট পার্টি। সেই পথই নিয়েছিলেন জুনিয়র কেনেডি। সম্প্রতি শেষ হওয়া নির্বাচনে ছিলেন নির্দল প্রার্থী। হঠাৎ তিনি ঢুকে যান রিপাবলিকান দলে। ট্রাম্পের ভালোবাসায় আপ্লুত হন।

   

বিংশ শতকের আলোচিত কেনেডি পরিবার এবার একুশ শতকে ফের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারে ঢুকল।আল জাজিরা জানাচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগের প্রধান হিসেবে রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়রকে বেছে নিয়েছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জুনিয়র কেনেডি নিজেও মার্কিন নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন। তবে নিজেকে সরিয়ে নেন এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পকে সমর্থন জানান। এরপর তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান পদটি পাওয়ার জন্য লবিং করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।

Trump

বিংশ শতাব্দীর ষাটের দশক সময়টি ছিল তীব্র রাজনৈতিক ও সামাজিক ঝঞ্ঝাপূর্ণ। ১৯৬৭ সালে ইজরায়েল সেনা ও প্যালেস্টাইনপন্থীদের যুদ্ধ চলছিল। সেই যুদ্ধে ইজরায়েল জয়ী হয়। জুনিয়র কেনেডির পিতা সিনিয়র কেনেডি ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। তিনি ইজরায়েলের সমর্থক ছিলেন। ১৯৬৮ সালে তাকে খুন করা হয়। আততায়ী হিসেবে চিহ্নিত শিরহান শিরহান ছিলেন ফিলিস্তিনি গেরিলা। খুনের কারণ হিসেবে উঠে এসেছিল সিনিয়র কেনেডির ইজরায়েল প্রীতি।

কাকা ও বাবার খুনের পর জুনিয়র কেনেডি মাদক সেবনে জেলে গেছেন। অর্থনীতির উচ্চতর শিক্ষিত হয়েছেন। তার পুরো নাম রবার্ট ফ্রান্সিস কেনেডি জুনিয়র। জন্ম ১৯৫৪ সালে। পরিবেশ আইনজীবী, টিকা বিরোধী কর্মী এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্ববিদ হিসেবে তিনি বিতর্কিত। অ্যাডভোকেসি গ্রুপ চিলড্রেন’স হেলথ ডিফেন্সের চেয়ারম্যান এবং প্রতিষ্ঠাতা। কোভিড মহামারির সময় তিনি কোভিড টিকার বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। তিনি টিকা বিরোধী বলে বিতর্কিত। তবে অভিযোগ উড়িয়ে জুনিয়র কেনেডির দাবি আমি টিকার ব্যবহার নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছি।