মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় খতম ISIS-এর শীর্ষ নেতা, ‘কৃতিত্ব’ নিলেন ট্রাম্প

বাগদাদ: ইরাকের আল আনবার প্রদেশে আমেরিকা ও ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ বিমান হামলায় খতম আইএসআইএস (ISIS) গোষ্ঠীর শীর্ষ কমান্ডার আবু খদিজাহ৷ যাঁর আসল নাম আব্দাল্লাহ মাকি মুসলিহ আল-রিফাই৷ এই হামলায় আরও একজন আইএসআইএস যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।

Advertisements

আবু খদিজাহ ছিলেন আইএসআইএসের গ্লোবাল অপারেশন প্রধান৷ গোটা বিশ্বে এই জঙ্গি গোষ্ঠীর কার্যক্রমের অন্যতম মূল মাথা ছিলেন তিনিই। মার্কিন সেনাবাহিনী জানায়, হামলার পর তাণদের কাছ থেকে একাধিক অস্ত্র এবং আত্মঘাতী বোম্বাচক ভেস্ট উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের পরিচয় ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে৷ পূর্বের এক অভিযানের সময় তাঁদের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছিল।

   

CENTCOM কমান্ডার মাইকেল কুরিলা বলেন, “আবু খদিজাহ ছিলেন আইএসআইএসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। আমাদের লক্ষ্য, এমন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলোর কর্মকাণ্ড পুরোপুরি থামানো, যা আমাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।”

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি এই অভিযানের প্রশংসা করেছেন৷ আবু খদিজাহকে “বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক সন্ত্রাসী” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ তিনি জানান, এই অপারেশনটি মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটের সহযোগিতায় সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

আবু খদিজাহর বিরুদ্ধে মার্কিন স্যাঙ্কশন
২০২৩ সালে আবু খদিজাহকে স্যাঙ্কশন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তাকে ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসআইএসের তথাকথিত গভর্নর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

Advertisements

এদিকে, ২০১৭ সালে আইএসআইএসের ভূখণ্ডীয় পরাজয়ের পরও গোষ্ঠীটি সক্রিয় রয়েছে। ইরাক এবং সিরিয়ার কিছু অঞ্চলে আইএসআইএসের অস্তিত্ব এখনও রয়ে গেছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক পোস্টে জানান, “আইএসআইএসের শীর্ষ নেতা নিহত হয়েছে। আমাদের বাহিনী তার দুষ্কৃতিকারী কর্মকাণ্ডকে শেষ করেছে।”

বর্তমানে, ইরাকে প্রায় ২,৫০০ মার্কিন সেনা উপস্থিত রয়েছে, যারা সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে ইরাকি বাহিনীকে সহায়তা করছে।