মার্কিন-চিন বাণিজ্য যুদ্ধ ভারতের রপ্তানির জন্য সোনালী সুযোগ, আত্মবিশ্বাসী সরকার

আমেরিকার সঙ্গে কানাডা, মেক্সিকো এবং চিনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধ বিশ্ববাজারে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। এই বাণিজ্য যুদ্ধটি আমেরিকার বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উদ্বেগের কারণে সৃষ্ট…

trading war

আমেরিকার সঙ্গে কানাডা, মেক্সিকো এবং চিনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধ বিশ্ববাজারে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। এই বাণিজ্য যুদ্ধটি আমেরিকার বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উদ্বেগের কারণে সৃষ্ট হয়। যার মধ্যে অবৈধ অভিবাসন এবং মাদক চোরাচালান, বিশেষ করে ফেন্টানিলের সমস্যা অন্যতম। আমেরিকা চিনা পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে, যার প্রতিক্রিয়ায় চিনও মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক চাপিয়েছে।

এক সরকারি সূত্র আশা প্রকাশ করে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং চিনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধ ভারতীয় রপ্তানি খাতের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ হয়ে উঠতে পারে। যদিও কিছু চ্যালেঞ্জ থাকবে, তবুও ভারতীয় রপ্তানিকারীরা আশা করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে।

   

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারত সম্ভবত উচ্চ শুল্কের হাত থেকে সম্পূর্ণভাবে রেহাই পাবে না, তবে ভারতীয় রপ্তানিকারীদের মধ্যে সামগ্রিক ভাবে ইতিবাচক প্রভাব পরবে। যদিও কিছু ভারতীয় পণ্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাণিজ্য পদক্ষেপের সম্মুখীন হতে পারে, তবে দেশের রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।

সাম্প্রতিক সময়ে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চিনা পণ্যের ওপর ১০% শুল্ক আরোপ করেছেন, যার প্রতিক্রিয়ায় পূর্ব এশিয়ার দেশটি মার্কিন তেলের ওপর ১০% শুল্ক এবং কয়লা ও তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর ১৫% শুল্ক ধার্য করে। এই বাণিজ্য যুদ্ধ মূলত আমেরিকার অবৈধ অভিবাসন এবং মাদক চোরাচালান, বিশেষ করে ফেন্টানিলের বিরুদ্ধে উদ্বেগের কারণে শুরু হয়েছে।

ট্রাম্প শুরুতে চিন, মেক্সিকো এবং কানাডার পণ্যের ওপর শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করেছিলেন। তবে পরবর্তীতে মেক্সিকো ও কানাডার ওপর কর আরোপ এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, “বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা সত্ত্বেও, ব্যাবসায়িক কর্মকর্তারা ভারতের কৌশলগত সুবিধা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। আগের সময়ে, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র এবং চিনের বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যে ভারত লাভবান হয়েছিল। তখন ভারতের রপ্তানি ছিল প্রায় ৫৭ বিলিয়ন ডলার, যা বাণিজ্য যুদ্ধের সময়ে বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল।”

অপরদিকে চিন, নতুন শুল্ক আরোপের তীব্র নিন্দায় সরব হয়ে আমেরিকার বাণিজ্য মন্ত্রক ও অর্থ মন্ত্রকের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিতি গুলি গভীরভাবে লঙ্ঘন করার জন্য অভিযুক্ত করেছে।