ওয়াশিংটন: বাণিজ্য যুদ্ধ ফের তুঙ্গে। শুক্রবার চিন জানিয়ে দিল, আমেরিকার পণ্যে শুল্কহার বাড়িয়ে ৮৪ শতাংশ থেকে ১২৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এই ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, চিন থেকে আমদানি হওয়া পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করা হচ্ছে। (us china trade war)
এই পাল্টা চাপের লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়ছে উদ্বেগ। তবে চিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা আর কোনও প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেবে না—তবে আমেরিকা যদি আরও এগোয়, তখন ‘শেষ অবধি লড়াই’-এর হুঁশিয়ারি রইল বেইজিংয়ের তরফে।
‘আন্তর্জাতিক নিয়মের পরিপন্থী আমেরিকার পদক্ষেপ’ us china trade war
চিনের অর্থমন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে—
“আমেরিকার এই অস্বাভাবিক শুল্ক চাপানো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আইন, অর্থনীতির মৌলিক যুক্তি এবং সাধারণ নীতির পরিপন্থী। এটি একতরফা দাদাগিরি এবং জবরদস্তি।”
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিনের তরফে আরও বলা হয়েছে, যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চিনের স্বার্থ লঙ্ঘন করতে থাকে, তাহলে তার ‘পুরো মাত্রায়’ প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে।
আর কোনও পাল্টা নয়, চিনের কৌশলগত বার্তা us china trade war
তবে চিনের বক্তব্য, এই মুহূর্তে তারা আর নতুন করে কোনও শুল্ক আরোপ করবে না।
“যদি আমেরিকা আরও শুল্ক আরোপ করে, আমরা আর পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখাব না। এই চাপকে আমরা গুরুত্বহীন ভাবব।”
এই বার্তা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, চিন আপাতত শুল্ক যুদ্ধ আরও না বাড়িয়ে কূটনৈতিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে চাইছে।
ট্রাম্পের ‘শুল্ক বিরতি’ থেকে বাদ পড়ল চিন us china trade war
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষিত ৯০ দিনের শুল্ক বিরতি চিনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
বরং চিনকেই এই বাণিজ্য নীতির মূল লক্ষ্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্য দেশগুলির ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় মিললেও চিনের উপর শুল্ক হার বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করা হয়েছে।
ইউরোপকে পাশে পেতে চায় চিন us china trade war
শুক্রবার ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের পরে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে আহ্বান জানান, যাতে তারা একত্রে এই ‘একতরফা বাণিজ্য দাদাগিরি’-র বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।
বিশ্বের দুই প্রধান অর্থনৈতিক শক্তির এই টানাপড়েনে প্রভাব পড়তে পারে আন্তর্জাতিক বাজার, আমদানি-রপ্তানি ও বিনিয়োগ পরিবেশে। এখন নজর ভবিষ্যতের কূটনৈতিক দাওয়াই ও বৈঠকের দিকে।
World: The US-China trade war escalates as both nations raise tariffs. Beijing warns of a final showdown while Washington excludes China from tariff relief. Global markets react as diplomatic tensions rise.