Ukraine Fires US-Made Missile: গত তিন বছর ধরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যে যুদ্ধ চলছে তা ভয়ানক মোড় নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। শনিবার (স্থানীয় সময়) ইউক্রেন থেকে রাশিয়া লক্ষ্য করে বিপুল সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করা হয়। ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের বৃষ্টির পর রাশিয়া এই ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলেছে। রাশিয়া দাবি করেছে যে ইউক্রেন থেকে তার ভূখণ্ডের দিকে আটটি আমেরিকান ATACMS ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল, যা আকাশে গুলি করে ধ্বংস করা হয়। রাশিয়া তার ভূখণ্ডে ইউক্রেনের ড্রোন ধ্বংস করার কথাও বলেছে।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। এই বর্ধিত উত্তেজনার কারণে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের পুলকোভো বিমানবন্দরে বিমান চলাচলও ব্যাহত হয়েছে। এখানে কিছু সময়ের জন্য ফ্লাইট বন্ধ রাখতে হয়েছিল। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকও দাবি করেছে যে তাদের বাহিনী পূর্ব ইউক্রেনের লুহানস্ক অঞ্চলের নাদিয়া গ্রাম দখল করেছে। লেনিনগ্রাদের গভর্নর আলেকজান্ডার ড্রোজডেনকো জানিয়েছেন যে ৪ জানুয়ারি রাতে এবং সকালে ধ্বংস হওয়া ড্রোনের সংখ্যা রেকর্ড-ব্রেকিং ছিল। এই উন্নয়ন ইউক্রেন যুদ্ধের একটি নতুন এবং বিপজ্জনক মোড় নির্দেশ করে।
পশ্চিমীদের কাছেও রাশিয়ার হুঁশিয়ারি
পশ্চিমী দেশগুলোর সমর্থন পাওয়া ইউক্রেনের এসব পদক্ষেপের জবাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। রাশিয়া ATACMS ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে যুদ্ধের একটি বড় টার্নিং পয়েন্ট বলে মনে করে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আমেরিকার কাছ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র পেয়েছে ইউক্রেন। কিছুক্ষণ আগে, আমেরিকার বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনকে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল, তারপরে ইউক্রেন এটি যুদ্ধক্ষেত্রে চালু করেছে।
আমেরিকান ক্ষেপণাস্ত্র ATACMS MGM-140 আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম নামে পরিচিত। এটি একটি দূরপাল্লার সুপারসনিক কৌশলগত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। 13 ফুট লম্বা এই আমেরিকান মিসাইলের রেঞ্জ 300 কিমি। ইউক্রেন ATACMS ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করলে রাশিয়া যুদ্ধে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘Oreshnik’ ব্যবহার করবে বলে হুমকি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।