UK Hypersonic Missile Testing: যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (UK MOD) একটি বড় অর্জনের ঘোষণা করেছে। মন্ত্রক জানিয়েছে যে ব্রিটেন তাদের নতুন হাইপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের ইঞ্জিনের পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এই ইঞ্জিনটি উচ্চ-গতির এয়ার-ব্রেথিং প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি, যা প্রচলিত রকেটের তুলনায় অনেক বেশি পরিসর এবং গতি প্রদান করবে। এই পরীক্ষাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অংশীদারিত্বে পরিচালিত হয় এবং সুপারসনিক থেকে হাইপারসনিক পর্যন্ত বিভিন্ন গতিতে 233টি ভিন্ন ভিন্ন পরীক্ষামূলক রান জড়িত ছিল। ২০৩০ সালের মধ্যে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি কার্যকর করার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা ব্রিটেনের ভবিষ্যত সামরিক শক্তিকে নতুন উচ্চতা দেবে।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক তথ্য দিয়েছে
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সম্প্রতি একটি বড় সাফল্য প্রকাশ করেছে। মন্ত্রক জানিয়েছে যে দেশটি তার হাইপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের ইঞ্জিন পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এই ইঞ্জিনটি একটি উচ্চ-গতির বায়ু-শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে তৈরি, যা এটিকে প্রচলিত রকেট ইঞ্জিনের তুলনায় অনেক বেশি পরিসর এবং গতি প্রদান করতে সক্ষম করে।
এই ইঞ্জিনটি একটি উচ্চ-গতির বায়ু-শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে তৈরি, যা এটিকে প্রচলিত রকেট ইঞ্জিনের তুলনায় অনেক বেশি পরিসর এবং গতি প্রদান করতে সক্ষম করে তোলে।
২০৩০ সালের মধ্যে কার্যকর হবে
এই নতুন হাইপারসনিক ইঞ্জিনটি টিম হাইপারসনিক্স (ইউকে) প্রোগ্রামের অধীনে তৈরি করা হয়েছে। এই প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই অস্ত্রটি ভবিষ্যতে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীকে কৌশলগতভাবে এগিয়ে নিতে পারে।
এই পরীক্ষায়, নাসার ল্যাংলি রিসার্চ সেন্টারে (ভার্জিনিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ৬ সপ্তাহ ধরে ২৩৩টি পরীক্ষামূলক রান পরিচালিত হয়েছিল। এই পরীক্ষাগুলিতে সুপারসনিক থেকে হাইপারসনিক পর্যন্ত গতি অন্তর্ভুক্ত ছিল। নকশা এবং কর্মক্ষমতা আরও উন্নত করার জন্য এই সমস্ত তথ্য রিয়েল টাইমে বিশ্লেষণ করা হয়।
এই ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষত্ব কী?
এই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ইঞ্জিনটি ‘এয়ার-ব্রিদিং’ সিস্টেমে কাজ করে, অর্থাৎ এটি বায়ুমণ্ডলের অক্সিজেন ব্যবহার করে উচ্চ গতিতে উড়তে পারে। প্রচলিত রকেটের তুলনায়, এই প্রযুক্তিটি জ্বালানি-বান্ধব এবং দীর্ঘ দূরত্বে আঘাত হানতে পারে।
এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলি শত্রু সনাক্তকরণ ব্যবস্থা এড়িয়ে যেতে পারে এবং অত্যন্ত উচ্চ গতিতে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে। এই প্রকল্পটি AUKUS অংশীদারিত্বের (অস্ট্রেলিয়া-যুক্তরাজ্য-মার্কিন প্রতিরক্ষা জোট) অংশ, যা ব্রিটেনের বিশ্বব্যাপী প্রতিরক্ষা অবস্থানকে শক্তিশালী করবে।