ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড মায়ানমার, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৪, নিখোঁজ বহু

মায়ানমারে (Myanmar) ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের টান্ডব! সুপার টাইফুন ‘ইয়াগি’ (Typhoon Yagi) আছড়ে পড়ায় মায়ানমারে মৃত্যুমিছিল ও ধ্বংসলীলা। ভয়াবহ এই ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত ৭৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া…

Typhoon Yagi Myanmar

মায়ানমারে (Myanmar) ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের টান্ডব! সুপার টাইফুন ‘ইয়াগি’ (Typhoon Yagi) আছড়ে পড়ায় মায়ানমারে মৃত্যুমিছিল ও ধ্বংসলীলা। ভয়াবহ এই ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত ৭৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে। প্রথমে এই সংখ্যা ছিল ৩৩ কিন্তু এখন মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে প্রায় ৮৯ জন। মৃত ও নিখোঁজদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisements

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, এর আগে টাইফুন ইয়াগি ভিয়েতনাম, উত্তর থাইল্যান্ড এবং লাওসে আছড়ে পরে, ২৬০ জনেরও বেশি জন নিহত হন এবং প্রচুর পরিমাণে ধ্বংস হয়। এই ঝড়ে মৃত ও নিখোঁজদের বিষয়ে এই সর্বশেষ পরিসংখ্যান এসেছে ক্ষমতাসীন সামরিক পরিষদের সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং-এর ঘোষণার পর। ঘোষণা করার সঙ্গে তিনি বিদেশী দেশগুলির কাছ থেকে সাহায্যের আর্জি করেন।

   

এর আগে বুধবার, বন্যা মায়ানমারের মান্দালে ও বাগো এবং রাজধানী নেপিইতাওয়ের নিম্নাঞ্চলীয় এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি করে, তারপরে শুক্রবার মিন অং হ্লাইং এবং সামরিক কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং নেপিতাওতে ত্রাণ কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য পান। জেনারেল উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিদেশি সহায়তার আর্জি জানান।

এর আগে ২০০৮ সালে ঘূর্ণিঝড় নার্গিসের (Cyclone Nargis) সাক্ষী হয়েছিল মায়ানমার দেশবাসী। ভয়ঙ্কর এই ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় এই দেশ। ২০০৮ সালে, ঘূর্ণিঝড় নার্গিসের কারণে 138,000 এরও বেশি লোক মারা গিয়েছিল। শুধু তাই নয়, ভারী বর্ষণের কারণে ২৪টি সেতু, ৩৭৫টি স্কুল ভবন, একটি বৌদ্ধ বিহার, পাঁচটি বাঁধ, চারটি প্যাগোডা, ১৪টি ট্রান্সফরমার, ৪৫৬টি ল্যাম্পপোস্ট এবং ৬৫ হাজারেরও বেশি বাড়িঘরসহ অনেক কিছুর ব্যাপক ক্ষতি হয়। এই ঘূর্ণিঝড়কে গত ৬০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ঝড় হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।