Tulip Siddique: বিপুল দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শেখ হাসিনার বোনঝি টিউলিপ ছাড়লেন ব্রিটেনের মন্ত্রীত্ব

পারিবারিক সূত্রে  টিউলিপ সিদ্দিক (Tulip Siddique) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি। মা শেখ রেহানা। মাসি শেখ হাসিনা। আর টিউলিপ নিজে ব্রিটেনের জবরদস্ত রাজনীতিক-সাংসদ। তিনি বিপুল…

পারিবারিক সূত্রে  টিউলিপ সিদ্দিক (Tulip Siddique) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি। মা শেখ রেহানা। মাসি শেখ হাসিনা। আর টিউলিপ নিজে ব্রিটেনের জবরদস্ত রাজনীতিক-সাংসদ। তিনি বিপুল দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। অভিযোগের কারণে বিতর্কিত টিউলিপ লেবার পার্টির সরকারের মন্ত্রীত্ব ছাড়লেন। তাঁর মাসি শেখ হাসিনা গতবছর (২০২৪) বাংলাদেশে গণবিক্ষোভে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রিত। (Tulip Siddique, accused of massive corruption, resigns as British minister)

ব্রিটেনে টানা চতুর্থবার সাংসদ নির্বাচিত হন টিউলিপ সিদ্দিক। পারিবারিক কারণে তিনি ব্রিটেনে বিশেষ চর্চিত রাজনীতিক।

   

বাংলাদেশে শেখ হাসিনার ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ, বিপুল দুর্নীতিতে জড়িত বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা। তাঁর কন্যা টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বিব্রত ব্রিটেনের লেবার পার্টির সরকার। জানা গেছে, টিউলিপকে মন্ত্রীত্ব ছাড়তে সরকারের অভ্যন্তর থেকেই চাপ তৈরি হয়েছিল।

পদত্যাগপত্রে টিউলিপ সিদ্দিক বলেছেন, আমি আমার সব আর্থিক যোগাযোগ ও সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করেছি। তবে এটি স্পষ্ট যে, এই পরিস্থিতি সরকারের জন্য একটি বিভ্রান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তে মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগের উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস মন্ত্রিত্বের নীতি ভঙ্গের কোনও প্রমাণ পাননি। তবে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, বাংলাদেশ সংযোগের কারণে ঝুঁকি সম্পর্কে আরও সচেতন হতে পারতেন টিউলিপ।

লন্ডনের কিংস ক্রসের কাছে একটি দুই বেডরুমের ফ্ল্যাট এবং হ্যাম্পস্টেডের অন্য একটি বাড়ি ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে টিউলিপ সিদ্দিকর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ওঠে, তার ফ্ল্যাট ও বাড়ি এমন ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া যাদের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও তার মাসি শেখ হাসিনার সম্পর্ক রয়েছে।

টিউলিপ তাঁর পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেন, স্যার লরি নিশ্চিত করেছেন যে আমি মন্ত্রিপরিষদ নীতিমালা ভঙ্গ করিনি। তার পর্যবেক্ষণে আমার মালিকানাধীন বা বসবাসকৃত সম্পত্তির সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও অনিয়মের প্রমাণ নেই এবং আমার কোনও সম্পদ ‘বৈধ উপায় ছাড়া অন্য কোনও উৎস থেকে এসেছে’ এমন ধারণারও ভিত্তি নেই।

টিউলিপ আরও উল্লেখ করেছেন, আমার পারিবারিক সম্পর্ক একটি প্রকাশ্য বিষয় এবং মন্ত্রী হওয়ার পর আমি সরকারকে আমার সম্পর্ক ও ব্যক্তিগত সব বিবরণ দিয়েছি। সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ব্যাপক পরামর্শের পর আমাকে আমার স্বার্থ ঘোষণায় উল্লেখ করতে বলা হয়েছিল যে, আমার মাসি বাংলাদেশে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ সম্পর্কিত বিষয় থেকে আমাকে দূরত্ব রাখতে বলা হয়েছিল, যাতে স্বার্থের সংঘাতের কোনও ধারণা না জন্মায়। আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমি সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে এবং সরকারি কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করেছি ও করছি।

টিউলিপ উল্লেখ করেছে, এটি স্পষ্ট যে অর্থ মন্ত্রকের অর্থনৈতিক সচিব হিসেবে আমার দায়িত্ব পালন সরকারের কাজে একটি বাধা হতে পারে। আমার আনুগত্য এই লেবার সরকার এবং জাতীয় পুনর্গঠন ও রূপান্তরের যে কর্মসূচি তা অব্যাহত রাখার প্রতি। তাই আমি আমার মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।