ওয়াশিংটন, ২৩ অক্টোবর: যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) আবারও আলোচনায়। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম Truth Social–এ এক পোস্টে ট্রাম্প দাবি করেছেন, ট্যারিফ ছাড়া মার্কিন ট্রাক ও গাড়ি শিল্পকে টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ত। আর ট্যারিফের জোরেই এই খাত আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
ট্রাম্পের ভাষায়, “General Motors-এর Mary Barra এবং Ford Motor Company-র Bill Ford আমাকে ফোন করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আমি মিড-সাইজ ও লার্জ সাইজ ট্রাকে ট্যারিফ বসানোর পর তাঁদের কোম্পানির শেয়ারের দাম হু হু করে বেড়েছে। ওঁরা বলেছেন, ট্যারিফ ছাড়া এই শিল্পের সামনে দীর্ঘ ও কঠিন সংগ্রাম অপেক্ষা করছিল।”
তিনি আরও যোগ করেছেন, “আমি স্পষ্ট জানিয়েছি—এটি শুধুই অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়, এটি জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত। ট্যারিফ থাকলে আমাদের অর্থনীতি ও দেশ শক্তিশালী হয়, আর ট্যারিফ ছাড়া আমরা ঠিক উল্টো পরিস্থিতির মুখে পড়ি।”
কেন ট্যারিফ নিয়ে এত জোর?
ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই বিদেশি গাড়ি ও ট্রাক আমদানির উপর শুল্ক আরোপের পক্ষে। তাঁর যুক্তি—চীন, মেক্সিকো ও অন্যান্য দেশ থেকে সস্তায় গাড়ি আসায় মার্কিন প্রস্তুতকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ট্যারিফ বসিয়ে তিনি শুধু দেশীয় শিল্পকেই রক্ষা করতে চাননি, বরং চাকরি বাঁচানো ও মার্কিন অর্থনীতিকে “স্বয়ংসম্পূর্ণ” করার লক্ষ্যে জোর দিয়েছিলেন।
বাজার প্রতিক্রিয়া
ট্রাম্পের দাবির পর যুক্তরাষ্ট্রের অটোমোবাইল শেয়ার বাজারে কিছুটা ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। যদিও বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, দীর্ঘমেয়াদে ট্যারিফ ভোক্তাদের জন্য দাম বাড়িয়ে তুলতে পারে। তবে রাজনৈতিক দিক থেকে ট্রাম্পের বক্তব্য রিপাবলিকান ভোটারদের কাছে আবারও শক্তিশালী বার্তা পাঠাচ্ছে—”আমেরিকা ফার্স্ট”।
US President Donald Trump, on Truth Social, posts, “Mary Barra of General Motors, and Bill Ford of Ford Motor Company, just called to thank me for putting Tariffs on Mid Size and Large Size Trucks. Their Stock has gone through the roof! They told me that, without Tariffs, it… pic.twitter.com/DfP9PrVg2H
— Press Trust of India (@PTI_News) October 22, 2025
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
ট্যারিফ নীতি নিয়ে আমেরিকার বাণিজ্য অংশীদার দেশগুলি আগেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। বিশেষত ইউরোপ ও এশিয়ার গাড়ি প্রস্তুতকারকরা মনে করেন, মার্কিন শুল্ক নীতি মুক্ত বাণিজ্যের পথে বড় বাধা। তবে ট্রাম্প তাঁর পুরনো অবস্থানেই অনড়—দেশীয় শিল্পের স্বার্থ সর্বাগ্রে।