হার্ভার্ড নিয়ে সময়সীমা বেঁধে দিলেন ট্রাম্প, নিতে হবে জরুরি ব্যবস্থা

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় (trump) জানিয়েছে, যদি আন্তর্জাতিক ছাত্র ভর্তির ক্ষমতা প্রত্যাহার করা হয়, তবে এটি তাদের ছাত্র সংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশের উপর প্রভাব ফেলবে। বৃহস্পতিবার, মার্কিন ফেডারেল…

trump on harvard university

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় (trump) জানিয়েছে, যদি আন্তর্জাতিক ছাত্র ভর্তির ক্ষমতা প্রত্যাহার করা হয়, তবে এটি তাদের ছাত্র সংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশের উপর প্রভাব ফেলবে। বৃহস্পতিবার, মার্কিন ফেডারেল বিচারক অ্যালিসন বুরোজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের এই নিষেধাজ্ঞা আরও ব্লক করার বিষয়ে বিবেচনা করবেন।

বিচারক বুরোজ (trump)  গত শুক্রবার জারি করা একটি অস্থায়ী আদেশের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন, যা মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগকে (ডিএইচএস) এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা থেকে বিরত রেখেছিল। বুধবার ওভাল অফিসে ট্রাম্প বলেন, আইভি লিগের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত অ-মার্কিন ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশের সীমা মেনে চলা।

   

তিনি বলেন, “হার্ভার্ডকে তাদের আচরণ সংশোধন করতে হবে।” তবে, হার্ভার্ডের আইনজীবীরা দাবি করেছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেশন হঠাৎ প্রত্যাহার করা হয়েছে, যা ফেডারেল নিয়ম-কানুনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ফেডারেল নিয়ম অনুযায়ী, ডিএইচএস-কে তাদের পদক্ষেপের জন্য বৈধ কারণ উল্লেখ করতে হবে, পূর্ব নোটিশ দিতে হবে এবং সমস্যা সমাধানের সুযোগ দিতে হবে।

রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিএইচএস নিয়ম অনুযায়ী, বিভাগকে তাদের অভিযোগের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করার জন্য ৩০ দিনের সময় দিতে হবে এবং প্রমাণ পেশ করার সুযোগ দিতে হবে। হার্ভার্ডের আইনজীবীরা বলেন, ডিএইচএস (trump) এই প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা আইনের লঙ্ঘন। তারা আরও জানান, এই নিষেধাজ্ঞা হার্ভার্ডের আন্তর্জাতিক ছাত্রদের ভর্তি প্রক্রিয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈচিত্র্যময় শিক্ষা পরিবেশের উপর গভীর প্রভাব ফেলবে।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, তাদের ছাত্রদের প্রায় ২৫ শতাংশ আন্তর্জাতিক ছাত্র। এই ছাত্ররা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এসে হার্ভার্ডের একাডেমিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধ করে। ট্রাম্প (trump) প্রশাসনের এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাগত মান এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্ট ল্যারি ব্যাকো বলেন(trump) , “আন্তর্জাতিক ছাত্ররা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের উপস্থিতি আমাদের শিক্ষার পরিবেশকে সমৃদ্ধ করে এবং বিশ্বব্যাপী দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে। এই নিষেধাজ্ঞা আমাদের মিশনের জন্য হুমকিস্বরূপ।” এই মামলায় হার্ভার্ডের আইনজীবীরা যুক্তি দিয়েছেন যে, ডিএইচএস-এর এই পদক্ষেপ শুধুমাত্র হার্ভার্ড নয়, বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার উপরও প্রভাব ফেলবে।

তারা বলেন, “এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক ছাত্রদের মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসার আকর্ষণ কমিয়ে দেবে, যা দেশের অর্থনীতি এবং শিক্ষাগত খ্যাতির জন্য ক্ষতিকর।” মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক ছাত্ররা প্রতি বছর বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক অবদান রাখে, এবং হার্ভার্ডের মতো প্রতিষ্ঠান তাদের শিক্ষাগত ও গবেষণা কার্যক্রমের জন্য এই ছাত্রদের উপর নির্ভর করে।

Advertisements

Suzuki e-Access জুনেই আসছে, নজরকাড়া ডিজাইনের ই-স্কুটি ফুল চার্জে ছুটবে 95 কিমি

বিচারক (trump) অ্যালিসন বুরোজ এই মামলার শুনানির সময় উভয় পক্ষের যুক্তি বিবেচনা করবেন। হার্ভার্ডের আইনজীবীরা দাবি করেছেন যে, ডিএইচএস-এর এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনিক পদ্ধতি আইনের (এপিএ) লঙ্ঘন করে, যা সরকারি সংস্থাগুলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বাধ্য করে। তারা বলেন, “ডিএইচএস কোনো বৈধ কারণ বা পূর্ব নোটিশ ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা আইনের পরিপন্থী।”

অন্যদিকে, ট্রাম্প (trump) প্রশাসন দাবি করেছে যে, আন্তর্জাতিক ছাত্রদের ভর্তির উপর নিয়ন্ত্রণ জাতীয় নিরাপত্তা এবং অভিবাসন নীতির জন্য প্রয়োজনীয়। ট্রাম্প বলেন, “আমরা আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে চাই। হার্ভার্ডের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমাদের নিয়ম মেনে চলতে হবে।” তবে, সমালোচকরা বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং মার্কিন উচ্চশিক্ষার বিশ্বব্যাপী খ্যাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

এই মামলার প্রেক্ষাপটে, হার্ভার্ডের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠন এগিয়ে এসেছে। আমেরিকান কাউন্সিল অন এডুকেশন (এসিই) বলেছে, “এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বায়ত্তশাসন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার উপর আঘাত হানবে।” এছাড়া, আন্তর্জাতিক ছাত্র সংগঠনগুলো এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে, যুক্তি দিয়ে বলেছে যে এটি তাদের শিক্ষার অধিকারকে সীমিত করছে।

বিচারক বুরোজের সিদ্ধান্ত (trump) এই মামলার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যদি তিনি অস্থায়ী আদেশের মেয়াদ বাড়ান, তবে হার্ভার্ড এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় তাদের আন্তর্জাতিক ছাত্র ভর্তি প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে পারবে। অন্যথায়, এটি মার্কিন উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে।

এই ঘটনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নীতি এবং শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে চলমান উত্তেজনার একটি প্রতিফলন। হার্ভার্ডের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বৈচিত্র্যময় ছাত্র সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এই মামলার ফলাফল শুধু হার্ভার্ড নয়, বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি নজির স্থাপন করতে পারে। আগামী দিনে এই বিষয়ে আরও আলোচনা এবং আইনি পদক্ষেপ প্রত্যাশিত।