ওয়াশিংটন: গাজা শান্তি চুক্তির প্রথম ধাপ বাস্তবায়নের মাত্র কিছু দিন পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার দক্ষিণ এশিয়ার সীমান্ত উত্তেজনায় হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছেন। সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে এয়ার ফোর্স ওয়ান-এ কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প জানান, পাকিস্তান-আফগান সীমান্ত সংঘাত সমাধানে তিনি সক্রিয় ভূমিকা নেবেন। নিজেকে “যুদ্ধ সমাধানে পারদর্শী” হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমি যুদ্ধ সমাধানে ভালো, শান্তি প্রতিষ্ঠাতাও।”
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনা
ট্রাম্প আরও বলেন, “ইসরায়েল-হামাস সংঘাত ছিল আমার প্রেসিডেন্সির অষ্টম যুদ্ধ যা সমাধান করেছি। এখন শুনেছি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনা চলছে, এটিও সমাধান করতে চাই।” তিনি স্পষ্ট করেছেন, এই উদ্যোগ মানবিক কারণে নেওয়া হয়েছে, ব্যক্তিগত স্বীকৃতির জন্য নয়। “এতে আমাকে সম্মানিত মনে হয়, কিন্তু আসল উদ্দেশ্য কোটি কোটি মানুষকে বাঁচানো,” মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাস বন্দি বিনিময় ও যুদ্ধবিরতি চুক্তি অগ্রগতির দিকে। প্রথম ধাপে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে হামাসের হাতে থাকা শেষ বন্দিদের মুক্তি, ইসরায়েলি কারাগারে থাকা প্যালেস্টিনীয় বন্দিদের মুক্তি এবং গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া।
পাকিস্তানের ৫৮ সেনা নিহত Trump Pakistan Afghanistan Conflict
সীমান্তের পরিস্থিতিও এখন উত্তপ্ত। আফগান সেনারা জানিয়েছে, সীমান্তে চলমান অভিযানে তারা পাকিস্তানের ৫৮ সেনাকে নিহত করেছে এবং ২৫টি সামরিক পোস্ট দখল করেছে। তালিবান সরকারের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানান, “পাকিস্তান বারবার আফগান ভূখণ্ড ও আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে, তাই আমাদের প্রতিহত করা প্রয়োজন।” পূর্ব আফগানিস্তানে কাবুল ও একটি বাজারে পাকিস্তান হামলার অভিযোগ তুললেও ইসলামাবাদ দায় স্বীকার করেনি।
টর্কহাম ও চামান বন্ধ
এই সীমান্ত সংঘাতের কারণে দুই গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত পারাপার, টর্কহাম ও চামান-বন্ধ রাখা হয়েছে। বাণিজ্য ও যাতায়াত ব্যাহত হয়েছে, আফগান শরণার্থীরা সীমান্ত পার হতে পারেননি, এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা সর্বোচ্চ মাত্রায় শক্ত করা হয়েছে।
বিশ্ব কূটনীতিতে এখন নজর কেন্দ্র করে ট্রাম্পের দ্বৈত মিশনে। একদিকে গাজায় স্থায়ী শান্তি, অন্যদিকে পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে উত্তেজনা শিথিল— কতটা সফল হবেন এই পদক্ষেপ, তা দেখার অপেক্ষা।