‘সেকেন্ডারি স্যাংশন’-এর হুঁশিয়ারি আমেরিকার, চাপে কি ভারতও?

ওয়াশিংটন: আমেরিকার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রবিবার ইঙ্গিত দিলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার “দ্বিতীয় পর্যায়ে” যেতে প্রস্তুত হোয়াইট হাউস। এই পদক্ষেপে ভারতের মতো দেশগুলিও চাপে পড়তে…

Trump on second phase of sanctions

ওয়াশিংটন: আমেরিকার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রবিবার ইঙ্গিত দিলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার “দ্বিতীয় পর্যায়ে” যেতে প্রস্তুত হোয়াইট হাউস। এই পদক্ষেপে ভারতের মতো দেশগুলিও চাপে পড়তে পারে, যারা এখনও রুশ তেল কিনছে।

Advertisements

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ার সর্ববৃহৎ আকাশ-হানার পরেই এ মন্তব্য করলেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি সংক্ষেপে বলেন, “হ্যাঁ, আমি প্রস্তুত।” যদিও বিস্তারিত কিছু জানাননি।

   

ট্রাম্প প্রশাসনের ক্ষোভ স্পষ্ট

ট্রাম্প প্রশাসনের ক্রমবর্ধমান ক্ষোভই এ মন্তব্যে স্পষ্ট, বিশেষত তাঁর আগের শান্তি-চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পরে। মার্কিন অর্থসচিব স্কট বেসেন্ট এনবিসিকে জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন রুশ তেল আমদানিকারক দেশগুলির উপর “সেকেন্ডারি ট্যারিফ” বসাতে পারে। তাঁর যুক্তি, রুশ অর্থনীতি ভেঙে পড়লেই কেবল ভ্লাদিমির পুতিন আলোচনার টেবিলে বসবেন।

এর আগেই ভারতীয় রপ্তানির উপর ২৫ শতাংশ শাস্তিমূলক শুল্ক বসিয়েছে আমেরিকা, ফলে মোট আমদানি শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। ট্রাম্প প্রকাশ্যে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন—“রাশিয়ার যুদ্ধযন্ত্রকে জ্বালানি জুগিয়ে যাচ্ছে নয়াদিল্লি।” অপরদিকে, ভারত তার রুশ তেল কেনার যুক্তি দাঁড় করিয়েছে জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তার প্রয়োজনে, এবং মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে ‘অন্যায়’ বলে বর্ণনা করেছে।

যদিও সম্প্রতি ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে অনলাইনে সৌজন্যমূলক বার্তা বিনিময়ের ঘটনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সাময়িক উষ্ণতার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল, নতুন করে রুশ তেল নিয়ে চাপানউতোর সেই আশাকে ম্লান করেছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার নজিরবিহীন হামলা Trump on second phase of sanctions

একই দিনে ইউক্রেনে যুদ্ধের নাটকীয় তীব্রতা লক্ষ করা গেল। কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত চার জন নিহত হন, ভেঙে পড়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন। ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া ৮১০টি ড্রোন ও ডিকয় নিক্ষেপ করেছিল, যার মধ্যে ৭৪৭টি তারা গুলি করে নামিয়েছে।

হামলার পর প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ঘোষণা করেছেন, তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সরাসরি শান্তি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। পাশাপাশি, তিনি ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছেন, রাশিয়ার উপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে মস্কোকে যুদ্ধ থামাতে বাধ্য করতে।