২৬/১১-র অন্যতম চক্রী রানাকে ভারতে ফেরত পাঠাচ্ছেন ট্রাম্প, ধন্যবাদ জানালেন মোদী

ওয়াশিংটন: দ্বিতীয়বার মার্কিন মসনদে বসার পর প্রথমবার ‘বন্ধু’র সঙ্গে সাক্ষাৎ৷ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শুরুর আগেই তাঁক আলিঙ্গন করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠকের…

Tahawwur Rana's extradition

ওয়াশিংটন: দ্বিতীয়বার মার্কিন মসনদে বসার পর প্রথমবার ‘বন্ধু’র সঙ্গে সাক্ষাৎ৷ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শুরুর আগেই তাঁক আলিঙ্গন করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠকের শেষেও দেখা গেল দুই রাষ্ট্রপ্রধানের উষ্ণ সম্পর্কের চেনা ছবি। মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করল ট্রাম্প প্রশাসন। চলতি বছরের শুরুতেই আমেরিকার আদালত রানার প্রত্যর্পণে সম্মতি জানিয়েছিল৷ বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান ট্রাম্প।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, আমার প্রশাসন ২০০৮ সালের মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলার সঙ্গে জড়িত কুখ্যাত অপরাধী, তাহাউর রানাকে বিচারের সম্মুখীন হওয়ার জন্য ভারতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

   

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডীয় নাগরিক রানা৷ ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত ছিলেন তিনি। পাকিস্তানি-আমেরিকান জঙ্গি ডেভিড কোলোমান হেডলির (যিনি “দাউদ গিলানি” নামেও পরিচিত) সঙ্গে মিলে এই হামলার ষড়যন্ত্রর ছক কষেছিলেন রানা। লস্কর-এ-তৈবা (LeT) জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ মদতে বাণিজ্যনদরী মুম্বইয়ে নাশকতা চালায় ১১ জন পাক জঙ্গি। তাদের মধ্যে একমাত্র জীবিত অবস্থায় ধরা পড়েন আজমল আমির কাসব৷ বর্তমানে রানা লস অ্যাঞ্জেলেসের এক কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

 দীর্ঘদিন ধরেই রানার প্রত্যর্পণের জন্য আমেরিকার কাছে অনুরোধ জানিয়ে আসছিল ভারত। এই ঘোষণার পর, ভারতের  বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, “আমরা রানার প্রত্যর্পণের জন্য প্রয়োজনীয় লজিস্টিক কাজগুলি শেষ করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। কয়েকটি শেষ পদক্ষেপ বাকি, তবে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। আমরা জানি, সীমানা পেরিয়ে সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়ছে, তাই এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাই, তিনি আমাদের জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

এছাড়া, ট্রাম্প আরও জানান, “আমরা ভারতের সঙ্গে একত্রে কাজ করে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী পদক্ষেপ নেব। সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে আমাদের সহযোগিতা আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী হবে। এ ছাড়াও, আরও কিছু প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া চলছে, কারণ আমাদের কাছে বেশ কয়েকটি অনুরোধ রয়েছে।”

এই ঘোষণার মাধ্যমে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে, এবং দুই দেশ বাণিজ্য, শক্তি, প্রতিরক্ষা সহ একাধিক খাতে একযোগী কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।