যুক্তরাষ্ট্রে, রবিবার দুপুর নাগাদ পুনরায় চালু হল টিকটিক(Tiktok)। নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ক্ষমতা গ্রহণের পর টিকটকের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবেন। যার জেরে জনপ্রিয় এই সোশাল মিডিয়া অ্যাপটি সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর পুনরায় চালু করা হয়। আমেরিকায় টিকটকের প্রত্যাবর্তনে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানায় টিকটক সংস্থা।
জাতীয় সুরক্ষার স্বার্থে কিছু সময়ের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এই অ্যাপটি। সেই মতো আইনও পাশ হয়। অ্যাপ বিক্রি করতে রবিবার পর্যন্ত চিনা সংস্থাকে সময় দেওয়া হয়। টিকটককে বাঁচাতে শুক্রবার আদালতের দ্বারস্থ হয় সংস্থাটি। যদিও ওই সংস্থার বিপক্ষেই রায় দেয় শীর্ষ আদালত। আমেরিকায় টিকটকের(Tiktok) সার্ভারের দায়িত্বে রয়েছে ওব্যাকল। ১৮ জানুয়ারি, শনিবার তারা সার্ভার বন্ধ করে দেয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন। তিনি বলেছেন যে তিনি কোম্পানিকে “ডিল করার” জন্য আরও সময় দিতে চান যাতে তারা ফেডারেল আদেশ মেনে চলতে পারে। রিপাবলিকান নেতা আরও বলেন, “আমি চাই যুক্তরাষ্ট্র একটি যৌথ উদ্যোগে ৫০ শতাংশ মালিকানা রাখুক”। তিনি দাবি করেন যে এই অ্যাপটির মূল্য কয়েক শ’বিলিয়ন ডলারে, হয়তো ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে। “এইভাবে, আমরা টিকটককে বাঁচাতে পারব এবং এটি সঠিক হাতে থাকবে,” ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ লেখেন।
ট্রাম্পের মন্তব্যের পর, টিকটক(Tiktok)একটি বিবৃতি দিয়ে জানায় যে ” আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞ।” বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ, টিকটক আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এসেছে!”
তবে ঘোষণার পরেও অ্যাপটি গুগল প্লে এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে উপলব্ধ ছিল না। মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছিল। ফলে আমেরিকা জুড়ে টিকটক নিষ্ক্রিয় হলেও, কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তা ফের চালু হয়ে গেল।