নেহানিয়াহুকে হত্যার ছক ভাঙল ইজরায়েলি গোয়েন্দা বিভাগ শেনবেত, কী তাদের কাজ?

ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে (Benjamin Netanyahu) তাঁর দেশেই (Israel) খুনের ছক করা হয়েছে। এই কাজটি করার জন্য এক ইজরায়েলিকে ভাড়া করা হয়েছে। তাকে প্রশিক্ষিত করেছে…

india israel

ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে (Benjamin Netanyahu) তাঁর দেশেই (Israel) খুনের ছক করা হয়েছে। এই কাজটি করার জন্য এক ইজরায়েলিকে ভাড়া করা হয়েছে। তাকে প্রশিক্ষিত করেছে ইরান। এমনই তথ্য প্রকাশ্যে আনল ইজরায়েলের অভ্যন্তরীন গোয়েন্দা বিভাগ (Shin Bet) শেনবেত। সংস্থাটির তথ্য, হত্যার ছক বানচাল।

শেনবেত ইজরায়েলেন অভ্যন্তরে ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করার জন্য নিয়োজিত। আর অন্যান্য দেশে চরবৃত্তি ও রোমহর্ষক অভিযানের জন্য বিখ্যাত মোসাদ। ইজরায়েলি রাষ্ট্রযন্ত্রের এই দুই গোপন শাখা পরস্পরের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী বলে স্পাই দুনিয়ায় চর্চিত। তবে শেনবেতের কথা খুবই কম শোনা যায়।

   

Times of Israel জানাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত ইরান সরকার।সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দুবার ইরানে গেছিল। তাকে অর্থ প্রদান করেছিল ইরান সরকার। ওই ব্যক্তি ধৃত। তার শাস্তি হবে।

শেনবেত কারা?
ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ তীক্ষ্ণ বুদ্ধিতে প্রতিপক্ষ শিবিরে ভয়াবহ হামলার (Mossad Attack) জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ অবসানের পর এর পরেই দেশটির গুপ্তচর বিভাগ ব্যাপক শক্তিশালী করে তুলতে পরিকল্পনা করেছিলেন ডেভিড বেনগুরিয়েন।

ইজরায়েলের প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বেনগুরিয়েনের পরিকল্পনার ফলে সে দেশের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা বিভাগ ‘শেনবেত’ শক্তিধর হয়। এরপর প্রতিপক্ষ আরব জাতির বিশেষত ফিলিস্তিনি গেরিলা সংগঠনগুলির হামলা মোকাবিলায় গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের জন্ম হয়।

পদাধিকার বলে শেনবেত বিভাগের প্রধান হলেন ইজরায়েলের নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান। তিনি ছাড়া সরকারের আর কেউ এই বিভাগের পরিকল্পনা জানতে পারবে না। প্রয়োজনে শেনবেত বিভাগের তথ্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাবেন প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান। চরম গোপনীয়তা রক্ষা করে শেনবেত।

সম্প্রতি ফিলিস্তিনি গেরিলা সংগঠন হামাস (জঙ্গি তালিকাভুক্ত)-এর রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া ইরানের রাজধানী শহর তেহরানে বিস্ফোরণে নিহত হয়। এই হামলায় জড়িত ছিল ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ। হামাস প্রধানকে খুনের ঘটনার পর ইরানের তরফে হামলার হুমকি এসেছিল। এবার ইরানের তরফে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে খুনের চেষ্টার বিষয়টি ঘিরে বিশ্ব শিহরিত। এই ছক ভেঙেছে শেনবেত।

ফিলিস্তিনি হামাস সংগঠনের মিত্র ইরান। প্যালেস্টাইনের গাজা উপত্যাকা থেকে হামাস ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে ঢুকে গণহত্যা চালিয়েছিল। এতে ইজরায়েলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল। প্রত্যাঘাতে গাজায় সেনা অভিযান করে গণহত্যা করছে ইজরায়েল।

সংঘর্ষের রেশ ধরে হামাস ঘনিষ্ঠ লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী সরাসরি ইজরায়েলে মিসাইল হামলা করেছিল। এরপর হিজবুল্লাহ বিরোধী অভিযানে নামে ইজরায়েল। গত ১৭-১৮ সেপ্টেম্বর অভিনব কায়দায় লেবাননে ধারাবাহিক পেজার ও ওয়াকিটাকি ডিভাইস বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হিজবুল্লাহকে ছিন্নভিন্ন করেছে ইজরায়েল। লেবাননের পেজার ও ওয়াকিটাকি ব্যবহারকারীদের সিংহভাগ হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর সদস্য। মনে করা হচ্ছে, ইজরায়েলি গুপ্তচর বিভাগ সেই ডিভাইসগুলির ভিতর অতি উচ্চ সিগন্যাল পাঠিয়ে গরম করে দেয় সেগুলি এরপর বিস্ফোরিত হতে শুরু করে