Monday, December 8, 2025
HomeTop Storiesফের ব্যর্থ ট্রাম্প! থাই-কম্বোডিয়া ভাঙল যুদ্ধবিরতি

ফের ব্যর্থ ট্রাম্প! থাই-কম্বোডিয়া ভাঙল যুদ্ধবিরতি

- Advertisement -

ব্যাংকক, ৮ ডিসেম্বর: দুই মাস আগেই মার্কিন (Thai-Cambodian border clash)প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি সীমান্তে কিছুটা শান্তির ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু শনিবার সকালে আচমকাই সেই শান্ত বাতাসে ধুলো উড়ল বলে দাবি করছে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, স্থানীয় সময় সকাল ০৮:৩০ মিনিটে কম্বোডিয়ান রয়্যাল আর্মি BM-21 মাল্টিপল রকেট লঞ্চার থেকে কয়েক দফা রকেট নিক্ষেপ করে থাইল্যান্ডের বুড়ি রাম প্রদেশের বান সাই থো কাও ও আশপাশের গ্রামে।

থাই ন্যাশনাল সিকিউরিটি ডিভিশনের একজন মুখপাত্র জানান,কাম্বোডিয়ান রকেট ফায়ার এ একজন থাই সেনা নিহত এবং দু’জন আহত হয়েছেন। সীমান্ত বাজারে সকালবেলার কেনাকাটা চলছিল তখনই এই বিস্ফোরণে জনমনে আতঙ্ক ছড়ায়। অনেকেই দোকানপাট বন্ধ করে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যান।

   

প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়, টলিপাড়ায় শোকের ছায়া

স্থানীয় এক বাসিন্দা ফোনে বলেন, “বাড়ি কাঁপছিল। আমরা ভেবেছিলাম ভূমিকম্প হয়েছে। পরে বুঝলাম গুলির শব্দ নয় এটা বড়সড় রকেট আঘাত।” অন্যদিকে, থাই আর্মি দাবি করেছে কম্বোডিয়ান সেনাবাহিনী প্রথমে অনুপং অপারেশন বেস -এ গোলাবর্ষণ করে, যেখানে তাদের বেশ কয়েকজন সৈনিক গুরুতর আহত হন। থাই রয়্যাল এয়ার ফোর্স এরপর F-16 ফাইটার জেট পাঠায় সীমান্তের ওপারের “artillery origin points” লক্ষ্য করে।

দুই দেশের সেনাবাহিনীই কোন পক্ষ আগে আগ্রাসন চালিয়েছে তা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন দাবি তুলছে। কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা দফতর একটি বিবৃতিতে বলেছে, “থাই সেনাই প্রথম যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করেছে”, কিন্তু থাই সেনা কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে “সম্পূর্ণ মিথ্যে ” হিসেবে উল্লেখ করেছে।

উভয় দেশের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোয় এখন নতুন করে চাপে পড়েছে সাধারণ মানুষ। থাই গ্রামগুলোতে ইতিমধ্যেই স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে এবং স্থানীয় প্রশাসন মানুষকে অপ্রয়োজনীয় যাতায়াত এড়াতে বলেছে। কম্বোডিয়ার দিকে অনেক পরিবার সীমান্তগ্রাম ছেড়ে নিরাপদ এলাকায় চলে যাচ্ছে বলে মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলো জানিয়েছে।

একজন কম্বোডিয়ান কৃষক জানান, “সকালে জমিতে কাজ করতে বেরিয়েছিলাম। দূরে বিস্ফোরণ শুনে মনে হচ্ছিল যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এখন সবাই গৃহস্থালি জিনিসপত্র নিয়ে পালাচ্ছে।” বিশ্লেষকরা বলছেন এই ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে গত অক্টোবরের যুদ্ধবিরতি সাক্ষর কার্যত প্রশ্নের মুখে পড়ল। সেই সময় ট্রাম্প দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে একত্রে এনে সীমান্তে শান্তি রক্ষার প্রতিশ্রুতি আদায় করেছিলেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক কূটনীতিকদের মতে, “Deep-rooted territorial tension” কোনো একদিনে মুছে ফেলা যায় না।

সন্ধ্যা নাগাদও সীমান্তে sporadic ছোটখাটো সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে বলে স্থানীয় রিপোর্টে দাবি। তবে দুই সরকারই আনুষ্ঠানিকভাবে ‘rising tensions’ স্বীকার করলেও পরিস্থিতি আরও অবনতি ঠেকাতে কূটনৈতিক চ্যানেল খোলা রেখেছে। একজন থাই বিশ্লেষকের কথায়, “এটা পুরোপুরি মানবিক সংকটে রূপ নিতে পারে। এখন শুধু শক্তির প্রদর্শন নয় তৎক্ষণাৎ কূটনৈতিক আলোচনাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular